সত্য জানি, সত্য মানি এবং সত্যের সাথে থাকি। সকল খবর হোক সত্য ও নিরপেক্ষ।

সত্যকে অস্বীকার কারনে, গত চার দশকে জাতি হিসাবে আমরা মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারিনি । স্বাধীনতার প্রায় অধ শতাব্দীতে জাতি তার কাঙ্তিত সাফল্য পায়নি।

মোর নাম এই বলে ক্ষ্যাত হোক – আমি তোমাদেরই লোক

যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ জাতি সমৃদ্ধিলাভ করেছে - আমরা তাদের ভুলব না । তোমরা অমর হয়ে থাকবে জাতীর ভাগ্যাকাশে। আমাদের ভালবাসা ও দোয়া রইল।

IT BD SOFT. একটি বিশ্বস্থ আইটি ট্রেনিং সেন্টার

------Pls visit http://itbdsoft.tk ------- কম্পিউটার শিক্ষা প্রসার ও বিকাশে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষা হোক সবার জন্য উম্মুক্ত ও সহজলভ্য।

পযটন হোক – জাতীয় উন্নতির একমাত্র হাতিয়ার।

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া। কক্সবাজার, সুন্দরবন, কুয়াকাটা, নীলগিরি সহ হাজারো দৃষ্টি নন্দন অপার সৌন্দার্য ছড়িয়ে আছে এ জমিনে – জানি ও সমৃদ্ধ করি দেশমাতৃকাকে।

IT BD SOFT. একটি বিশ্বস্থ আইটি ট্রেনিং সেন্টার

------Pls visit http://itbdsoft.tk ------- কম্পিউটার শিক্ষা প্রসার ও বিকাশে / এছাড়াও আমরা ডোমিন- হোষ্টিং বিক্রি /আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়ানো / সাইটিকে কে গুগল টপে আনতে আমাদের সাহায্য নিন।

Thursday, March 27, 2014

‘জাতীয় সংগীত নিয়ে রেকর্ডের ঘটনা চেতনা ব্যবসা, সস্তা ও সহিহ্ দেশপ্রেম’

জাতীয় সংগীত নিয়ে রেকর্ডের ঘটনা চেতনা ব্যবসা, সস্তা ও সহিহ্ দেশপ্রেম’

(প্রিয়.কম) ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড করার উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ব্লগ সরগরম। শুধুই রেকর্ড করার উদ্দেশ্যে ৫০ কোটি টাকা খরচ করে এই অনুষ্ঠানের উদ্যোগ কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। অন্যদিকে এই টাকা খরচ করার দায়িত্বে ছিল সংস্কৃতিমন্ত্রীরই নিজের প্রতিষ্ঠান। এসব নিয়েও সমালোচনার ঝড় ওঠেছে ফেসবুক-ব্লগে।

সস্তা দেশপ্রেম

ব্লগার মারুফ অভিক সামহোয়ার ইন ব্লগে ‘সস্তা দেশপ্রেম’ নামে একটি ব্লগ লিখেছেন। ব্লগটি এরকম- আগামী ২৬শে মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সন্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। শুনলাম সরকার এই কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে!! বিভিন্ন স্কুল-কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্র ছাত্রীদের সেখানে নেয়া হচ্ছে বাধ্যতামূলকভাবে! শুনলাম গান গাওয়ার পরে লাঞ্চ করাবে। ভালো কথা!! এবার আসি কিছু বিশ্লেষণ এ। একত্রে জাতীয় সংগীত গাইলে কিনবা একত্রে পতাকা বানিয়ে রেকর্ড করে কি আসলেই দেশপ্রেম প্রকাশ পায়??!! আমার অফিসের এক জার্মান কলিগ একবার আমাকে বলেছিলো তারা নাকি স্কুলে জাতীয় সংগীত গায় না এমনকি তাদের দেশে অনেকে নাকি জাতীয় সংগীত জানেও না!! শুধু জার্মানি নয় পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে স্কুলে জাতীয় সংগীত গাওয়ার উদাহরন হয়ত পাওয়া যাবে না। তার মানে কি তাদের মাঝে দেশপ্রেম নেই??!!! উত্তর হচ্ছে ''আছে'' আছে বলেই আজ তারা এত উন্নত!! তারা ২৪ ঘন্টা দেশপ্রেম দেশপ্রেম করে না বরং কাজের মাধ্যমে সেটা করে দেখায়। একটা প্রবাদ আছে ''চোরের মন পুলিশ পুলিশ'' আমাদের অবস্থা হইছে তাই!! যে দেশ দুর্নীতিতে ৫ বার টানা চ্যাম্পিয়ন হয় তাদেরই দরকার পড়ে এইসব রেকর্ড বানিয়ে নিজেদের দেশপ্রেম দেখানোর!! এই ১০০ কোটি টাকা যদি গরীব মানুষগুলোর জন্য খরচ করা হতো হয়ত সেটাই আসল দেশপ্রেম হত। কারন দেশপ্রেম বলতে দেশের মানুষকে প্রেম করা বুঝায় আমি মনে করি। এই ধরনের উদ্ভট কর্মকাণ্ড এদেশে হচ্ছে আরো হবে কারন কোন একটা সমাজ পরিবর্তন করতে পারে তরুণরা। অথচ আমাদের দেশের তরুণরা মনে করে দেশপ্রেম মানে হচ্ছে কেউ যদি কোন খেলায় পাকিস্তান-ইন্ডিয়া কে সাপোর্ট দেয় তাকে গালি দেয়া ক্রিটিসাইজ করা। সারাবছর যারা ব্যস্ত থাকে রেষ্টুরেন্টে খাইতে,গার্ল ফ্রেন্ডদের নিয়া ঘুরতে,যাদের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই দেশে কি হচ্ছে!! তাদের দেশপ্রেম উতলিয়ে পড়ে ফেসবুকে যদি কেউ পাকিস্তান সাপোর্ট করে ক্রিকেটে!! শেষে একটা কথাই বলতে হয়:
''আমার দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে''

৫০ কোটি টাকার জাতীয় সঙ্গীতের বিশ্ব রেকর্ড এবং সুরেন্দ্র কারবারি পাড়ার ১.৫ লক্ষ টাকার স্কুলের ছাদ- আমি ব্যবহৃত হতে অস্বীকার করি

‘উপরোক্ত শিরোনামে’ ‘শাহবাগ থেকে হেফাজত: রাজসাক্ষীর জবানবন্দী’ বইয়ের লেখক জিয়া হাসানও তার ফেসবুকে লিখেছেন। লেখাটি এরকম-
আজকে সকাল ১০টা থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে (সূত্র: সংস্কৃতি মন্ত্রী), মন্ত্রী এমপিদের সরকারের সাথে ব্যবসা করার আইন ভঙ্গ করে, প্রতিটা ব্যাংক এবং বেশ কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে বাধ্যতামূলক চাঁদাবাজি করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের এক সাথে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বিশ্ব রেকর্ড।
একটা মর্মস্পর্শী ছবি
কে জানে, এমন একটা রেকর্ড প্রতিদিন আমরা ভাঙছি কিনা, স্কুল ঘর না থাকায় পৃথিবীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছাত্রছাত্রী প্রতিদিন খোলা মাঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার এবং পাঠ দান নেয়ার। কিন্তু এর মধ্যেই ফেসবুকে, তন্দ্রা চাকমার স্ট্যাটাস অনেকেই দেখেছেন, খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় সুরেন্দ্র কারবারি পাড়ার মহাসেনের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া স্কুলের টিন-শেড ঠিক করে দেয়ার জন্যে ১.৫ লক্ষ টাকা জোগাড় করতে।
পেছন থেকে তোলা, একটা ভাঙ্গা স্কুল ঘরের সামনে চার লাইনে দাড়িয়ে শপথ নিতে থাকা এই অত্যন্ত মর্মস্পর্শী এই ছবিটা দেখলেই বোঝা যায়, এই রাষ্ট্র-যন্ত্র কি ভাবে তার জনগণের বেসিক চাহিদা পূরণ করতে পদে পদে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
এক বছর আগে হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের ভেঙ্গে যাওয়া স্কুলঘর ঠিক করতে যেই রাষ্ট্র ব্যর্থ, সেই রাষ্ট্রের কোন অধিকার নাই ৫০ কোটি টাকা খরচ করে, জাতীয় সঙ্গীতের বিশ্ব রেকর্ড করার।
কিন্তু সেই গুলো করছে আওয়ামী লিগের সরকার। কেন করছে ? কারণ, এই দলের জনগণের কাছে কোন দায়বদ্ধতা নাই। এই দল জানে, তারা মানুষের ভোট জিতে ক্ষমতায় আসে নাই। তারা জানে, তারা ক্ষমতায় আসছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশকে দুইটি ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন রকম গুটি-বাজি করে এবং ইন্ডিয়ার স্বার্থ রক্ষা করার মাধ্যমে। ফলে তাদের সমস্ত চিন্তা চেতনায় এই দুইটি ধারা প্রবাহিত হয়।
এই জন্যে আমরা দেখেছি, সমালোচনার মুখেও তারা ৫০ কোটি টাকা খরচ করে, এই অর্থহীন অনুষ্ঠানটা করে যাচ্ছে। কারো কথায় কান দিচ্ছে না। এই গুলো ক্লাসিক স্বৈরচারী আচরণ। বড় বড় মূর্তি বানানো, বড় বড় অনুষ্ঠান করা। স্বৈরাচার নিজেই তার গড়া এই ফানুসে উড়ে বেরায়। তার ধারনা থাকে, মানুষের জীবনে শান্তি সুখের নহর বয়ে যাচ্ছে। এই জন্যে স্বৈরাচার নিয়ম করে, আচ্ছা জনগণের যেহেতু অনেক টাকা, সেহেতু আমরা সব রাস্তায় টোল বসিয়ে দেই। বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেই।
এই অনুষ্ঠান আরও অনেক গুলো সম্পূরক প্রশ্নের জন্ম দেয়
তা হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এই ভাবে কোন অনুষ্ঠানের জন্যে বাধ্যতামূলক চাঁদাবাজি করা আইন সম্মত কি না? এ কোন রাষ্ট্র সৃষ্টি করলাম আমরা যার সরকার এই ধরনের ভ্যানিটি প্রজেক্টের জন্যে নিজেই চাঁদাবাজি করে? এই টাকার একাউন্টেবিলিটি কে নিশ্চিত করছে? এই টাকাটা অডিটেবেল কিনা? সরকার যাদের কাছ থেকে এই টাকা নিয়েছে, তারা এই অনুদানের কি পে-ব্যাক নিবে ?
এই টাকা সরকারী নিয়ম মেনে খরচ হয়েছে কিনা। এবং এই অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি-মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরের প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিকের তত্ত্বাবধানে হওয়াতে মন্ত্রী এমপিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সরকারের সাথে ব্যবসা না করার যে নিয়ম তার প্রকাশ্য বাত্যয় হলো, দুদক তার তদন্ত করবে কিনা? এই রাষ্ট্র কি, এতো নাঙ্গা হয়ে গ্যেছে যে, এই ধরনের দুর্নীতি করতে আজ রাখ ঢাক ও করতে হয় না?
এই প্রশ্নগুলোকে উপেক্ষা করে
আজকে যখন সমালোচনার ঝড় ওঠে, ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা নেয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বরখেলাপ কিনা তখন বোঝা যায়, সরকার চাইছে নবীনদেরকে এবং প্রতিবাদীদেরকে দেশপ্রেমের একটা ধোঁয়াটে অন্ধকারে বুঁদ করে রাখা যাতে, আজকের প্রজন্ম, তার চোখের সামনে লুটপাট দেখেও সঠিক প্রশ্ন করতে ব্যর্থ হয়। যাতে সে সুশাসন না চায়, প্রকাশ্য দুর্নীতি দেখলেও বিভাজিত রাজনীতিতে নিজের অবস্থানের কারণে চুপ থাকে, প্রতিবাদী না হয়।
যাতে সে দেখতে ব্যর্থ হয়, সুরেন্দ্র কারবারি পাড়ার বাচ্চাদের সরকারী স্কুলের ঘর মাত্র ১.৫ লক্ষ টাকার জন্যে, নির্মাণ করতে ব্যর্থ হয় যে সরকার সেই সরকারের ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার লুটপাটের মহোচ্ছবের কোন অধিকার নাই। এই উৎসব বার বার মনে করিয়ে দেয়, সেমুয়েল জনসনের বিখ্যাত উক্তি, patriotism is the last refuge of a scoundrel । বদমাইশের শেষ আশ্রয় হচ্ছে দেশ প্রেম।
এই প্রজন্মকে মনে রাখতে হবে , দেশ কিন্তু মা। মাকে নিয়ে ব্যবসা করতে হয় না
এবং যারা করে, তারা কোন একটা ধান্দার জন্যে করে। এই প্রজন্মের চ্যালেঞ্জ, সেই ধান্ধাবাজদের সৃষ্ট ধোয়ার থেকে সত্যকে দেখতে পাওয়া এবং সঠিক প্রশ্নটা করা। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার দায়, এই চেতনা ব্যবসায়ীদের হাতে ব্যবহৃত না হওয়া।
আজকে আমাদেরকে তাই এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর চাইতে হবে। এই চাদাবাজি আইনসম্মত কিনা ? এর একাউন্টিবিলিটি কে দেখবে ? এবং মন্ত্রীর প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক আইন ভঙ্গ করে কিভাবে এই কাজ পায় ?
যাদের সামর্থ্য আছে, তারা সুরেন্দ্র কারবারি পাড়ার মহাসেনের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া সরকারী স্কুলের পরিচালক দয়ানন্দ দাদার সাথে যোগাযোগ করবেন ০১৮২৮৮৬১৩০৩ নাম্বারে। এই স্কুলটি ঠিক করতে ১.৫ লক্ষ টাকা লাগবে। সরকার যদি না করে, আমরাই পারবো এই স্কুল ঠিক করে দিতে। এইটাই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা।
আই রিফিউজ টু বি ইউজড, আমি ব্যবহৃত হতে অস্বীকার করি। এবং এই ৫০ কোটি টাকার প্রতিটা পয়সার হিসেব চাই। সবাইকে ২৬শে মার্চের শুভেচ্ছা।

চিত্র ৩: আয়োজন ভাঙলে এভাবেই পায়ের নিচে পিষ্ট হয় জাতীয় পতাকা

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসায়ীদের ঘেন্না

অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও একটি অনলাইন পত্রিকার প্রধান সহ-সম্পাদক মাহবুব রশিদ এ প্রসঙ্গে‘ফেসবুকে একটি লেখা’ লিখেছেন। লেখাটি এরকম-
আলী যাকের-সারা যাকের-আসাদুজ্জামান নূর।
প্রত্যেকেই অনেক উঁচুদরের অভিনেতা। শৈশবে আলী যাকেরের অভিনয়ে 'সক্রেটিসের জবানবন্দি' নামের নাটকটি দেইখা অনেক আপ্লুত হইছিলাম। নূরের অভিনয়ে 'নুরুলদিনের সারাজীবন' আমার শিশুকালে আমার ভবিষ্যতের গণমূখি চিন্তার বুনিয়াদ।
এদের অভিনয় একটা প্রজন্মরে গড়ে তুলেছে, অস্বিকার করার উপায় নাই।
কিন্তু আমার দেশের প্রতিভাবানেরা বেশিরভাগই তাদের বাহ্যিক জীবন, তত্ত্বের জীবনের সাথে আপন চর্চার মিল রাখেন না।
সভা-সেমিনারে, নাটকে-সিনেমায়, গানে-বয়ানে, লেখা-কবিতায় তারা অনেক ভাল কথা বলে থাকেন। নিজের জীবনে তারা সেগুলা খাটান না।
এদেরও তো খেয়ে বাঁচতে হয়, করুক নাহয় কিছু ব্যবসাপাতি।
কিন্তু তারা গণবিরোধী অবস্থান নিবেন তা তো হবে না।
আগেই তারা সরাসরি দেশের শত্রুর পক্ষে দেশের সম্পদ চোরদের সাথে কাজ করতেন।
বাংলাদেশে ফুলবাড়ী কয়লাখনিতে উন্মুক্ত খননের পক্ষে জনমত গঠন তথা পাবলিক রিলেশানস (পিআর) তৈরির কাজ করছে এশিয়াটিক এর সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ‘ফোরথট পিআর’ নামের একটা পিআর এজেন্সি! অর্থাৎ তারা বহুজাতিক এশিয়া এনার্জির জাতীয় সম্পদ লুটপাটেরও সহযোগী।
এখন সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ৫০ কোটি টাকা খরচ করে জাতীর সঙ্গীত গাইবার বিশ্বরেকর্ড করার দায়িত্বও পেয়েছে এই ফোরথট পিআর।
একজন শিল্পির তার দেশ জাতির প্রতি কমিটমেনট থাকার কথা। সেই সব মূল্যবোধের পাছায় লাথি মেরে আগের আমলে লীগ সরকারের ভাল মন্দ সব কিছুতে আনক্রিটিক্যাল আনুগত্যের পুরোষ্কার পেয়েছেন নূর। এবার তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন। একই সাথে অনৈতিক ভাবে আছেন একটা লাভজনক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে।
নিজের মন্ত্রণালয়ের কন্ট্র্যাক্ট পাইয়ে দিচ্ছেন নিজের মালিকানার প্রতিষ্ঠানকে।
শুধু এইটুকু নৈতিক অবক্ষয় তার ও তাদের শিল্পিসত্বার সমস্ত হিপোক্রিসিকে নগ্ন করে প্রকাশ করে। টাকা খরচ করে এ্যান্থেম গেয়ে রেকর্ড করা কতটা জরুরি সেকথা নাহয় বাদই দিলাম।
এদের চেয়ে তো শামীম ওসমান ভাল। তিনিও দাবি করেন তিনি গড ফাদার, সন্ত্রাসী- হিপোক্রিসি করেন না। গিরগিটির মত নিজেকে লুকিয়ে রাখেন না। প্রগতিশীল চাপ দাঁড়ি মাখা মুখে পিছিলা হাসি নিয়ে দেশের মানুষের পকেট কাটেন না। সরাসরি রাম দা নিয়ে কোপাতে যান। আমরা চিনতে পারি আমাদের শত্রুকে।
এরা নাকি আমাদের দেশের শিল্পি। ঘেন্না হয়।
গণহত্যাকারী পাকিস্তানী আর রাজাকারদের প্রতি নয় শুধু, এই সব মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যাবসায়ীদের ঘেন্না জানায়া ২৬ মার্চের লেখা দিলাম।

জাতীয় সংগীত নিয়ে আহ্লাদ করাই সহিহ্ দেশপ্রেম!

অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও সাংবাদিক কল্লোল মুস্তাফা এ প্রসঙ্গে একটি লেখা লিখেছেন। ‘লেখাটি এরকম’-
‘লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা’র মূল উদ্যোক্তা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আর অর্থের বিনিময়ে এটি আয়োজনের দ্বায়িত্ব পেয়েছে এশিয়াটিক এর সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ‘ফোরথট পিআর’নামের একটা পিআর এজেন্সি।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর আবার এই ফোরথট পিআর নামের প্রতিষ্ঠানটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বা ম্যানেজিং ডিরেক্টর!
আসাদুজ্জামান নূর নিজেই সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন এই অনুষ্ঠান আয়োজন করতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ৫০ কোটি টাকা খরচ হবে, অবশ্য তিনি বলেননি তার প্রতিষ্ঠান ফোরথট পিআর এর ভাগে ঠিক কত পড়েছে।
জনাব নুর এর মাধ্যমে যে গুরুতর অপরাধ করেছেন তা হলো- সরকারি দ্বায়িত্বে থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লাভজনক পদে থাকা এবং দেশপ্রেমের রেকর্ডের নামে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাতে তার নিজের প্রতিষ্ঠান সরাসরি লাভবান হয়। ফলে ‘লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা’ নামের আয়োজনটি কতটা দেশপ্রেম থেকে করা হয়েছে আর কতটা ব্যাবসায়িক ধান্দা থেকে করা হয়েছে সেই প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক।
কিন্তু এরচেয়ে মারাত্মক সমস্যা হলো- যে ফোরথট পিআর প্রতিষ্ঠানটি লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা নামক দেশপ্রেমের প্রদর্শনী ও রেকর্ডের আয়োজন করছে, সেই পিআর প্রতিষ্ঠানটি আবার একই সাথে এশিয়া এনার্জি বা জিসিএম রিসোর্স নামের বহুজাতিক কোম্পানির পিআর এজেন্সি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছে! যে এশিয়া এনার্জি উন্মুক্ত খননের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ লুন্ঠনের পায়তারা করেছে, শেয়ার বাজারে ফুলবাড়ির কয়লা নিজেদের বলে দেখিয়ে ব্যাবসা করছে, যে এশিয়া এনার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ২০০৬ সালের ২৬ আগষ্ট ফুলবাড়ির আমিনুল, তরিকুল, সালেকিন জীবন দিয়েছেন এবং অসংখ্যা মানুষ আহত হয়েছেন যাদের কেউ কেউ পঙ্গুজীবন যাপন করছেন, সেই এশিয়া এনার্জির দালাল একটি প্রতিষ্ঠান এবং দালাল একজন ব্যাক্তির দ্বায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয় এই কথিত দেশপ্রেমের প্রদর্শনীর আয়োজন করছে!
দেশপ্রেম কাকে বলে আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জিনিসটাই বা কি? দেশপ্রেম কি দেশের মানুষ ও সম্পদকে বাদ দিয়ে কেবল দেশের পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি লোকদেখানো ভালোবাসার কর্পোরেট প্রদর্শনী?
নাকি দেশপ্রেম বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংজ্ঞা পাল্টে গেছে! দেশটাকে ভাগা মাছের মতো দেশি/বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানির হাতে তুলে দিতে দিতে, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করতে করতে, দেশের মানুষের বারোটা বাজাতে বাজাতে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানির আয়োজনে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে আহল্লাদ করাকেই বুঝি আজকাল সহিহ দেশপ্রেম বলা হয়!
আসলে যেই দেশের শাসকদের মানুষের জীবন ও সম্পদের প্রতি কোন প্রেম নাই, সেই দেশের শাসকদেরকেই কোটি টাকা খরচ করে দেশপ্রেমের প্রদর্শনী করতে হয়- মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিদেশী কোম্পানির দালালদের আয়োজনে ‘লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠানটি তারই প্রমাণ।

চিত্র ৫: লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ এর আয়োজনের সময় জাতীয় পতাকা বসার জন্য ব্যবহৃত হয়। ছবিটি নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা'-র উদ্যোক্তা বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।
সূত্র - প্রিয়.কম.priyo.com
Wednesday, 26 March 2014 - 9:09pm

Sunday, March 16, 2014

চাঁদাবাজির টাকায় বিদেশে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আলিশান জীবনযাপন

চাঁদাবাজির টাকায় বিদেশে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের আলিশান জীবনযাপন
চাঁদাবাজির টাকায় বিদেশে আলিশান জীবনযাপন করছে ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীরা প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা যাচ্ছে এসব সন্ত্রাসীর নামে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, দীর্ঘ দিন দেশের বাইরে পলাতক থাকলেও তাদের অপরাধের সাম্রাজ্য ঠিকই অটুট আছে এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের মা-ভাই-বোন স্ত্রী-সন্তানেরাও জড়িয়ে পড়েছে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা পরে টাকাই যাচ্ছে প্রবাসে
রাজধানীর সন্ত্রাসীদের মধ্যে যারা পলাতক রয়েছে তাদের বেশির ভাগই বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছে বলে জানা যায় প্রবাসে থাকলেও এসব সন্ত্রাসীর নামেই চলছে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড তাদের নামে উত্তোলন হচ্ছে কোটি কোটি টাকা নানাভাবে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে তাদের কাছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের হারিস ওরফে হারেসও ভারতে অবস্থান করছে বলে জানা যায় হারিসের অপর ভাই যোসেফ বর্তমানে জেলে রয়েছে যোসেফের নামে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা যাচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায় রাজধানীর অপর এক সন্ত্রাসী নবীর নামে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় হচ্ছে রাজধানীর পশ্চিম এলাকা থেকে অনেকে সরাসরি তাকে ভারতে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে জানা যায় মিরপুরের শাহাদাতের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে মিরপুর, পল্লবী, কাফরুল, শাহআলী, দারুস সালামসহ বিভিন্ন এলাকায়
সূত্র জানায়, শাহাদাতের জন্য প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা যাচ্ছে দেশ থেকে শাহাদাত বেশির ভাগ সময় ভারতেই অবস্থান করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রকাশ বিকাশ বর্তমানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে অবস্থান করছে তাদের একজন আগে থেকেই ভারতে ছিল আর গত সরকারের শেষভাগে অপরজন জামিনে মুক্তি পেয়ে গোপনে ভারত চলে যায় প্রশাসনের কিছু সদস্য তাকে ভারতে যেতে সহায়তা করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় দুই ভাইয়ের নামে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরাসরি অর্থ চলে যাচ্ছে প্রবাসে এভাবে রাজধানীর কাওরান বাজারের আশিক, পুরান ঢাকার সহিদ কমিশনারের বেশ কয়েকজন অনুসারীসহ অনেক সন্ত্রাসীই বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছে পুরান ঢাকার একাধিক সূত্র জানায়, সহিদ কমিশনার অস্ত্রসহ ্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে তার অনুসারীদের বেশ কয়েকজন ওই দিনই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে ওই সন্ত্রাসীদের নামেও এখন চাঁদাবাজি চলছে বলে জানা গেছে
কাফরুলের কিলার আব্বাস বর্তমানে জেলে রয়েছে তার স্ত্রী ওই এলাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায় একইভাবে সুইডেন আসলাম জেলে অবস্থান করলেও তার আন্ডারওয়ার্ল্ড এখনো টিকিয়ে রেখেছে তার স্ত্রী তার স্ত্রীসহ কয়েক সহযোগী এখন সুইডেন আসলামের নামে চাঁদা উত্তোলন করছে
একাধিক সূত্র জানায়, যেসব সন্ত্রাসী বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে তাদের আত্মীয়-স্বজনদেরও অনেকে চাঁদার টাকা আদায় এবং তা প্রবাসে পাঠানোর কাজ করছে ওইসব সন্ত্রাসীরা প্রবাসে থাকায় তাদের আত্মীয়-স্বজনদের অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে চাঁদার টাকা
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীর ৩২ মামলার আসামি তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফর আহমেদ মানিক বর্তমানে ভারতে অবস্থান করলেও নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি অভিযোগ রয়েছে, কয়েক দিন আগেও বাহিনীর সদস্যরা চাঁদার জন্য একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেয়
সূত্র জানায়, তার নামে যে চাঁদা আদায় হচ্ছে তার বেশির ভাগ জমা হচ্ছে তার মা হাফিজা বোন জেসমিনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই অ্যাকাউন্ট থেকেই পরে তা ট্রান্সফার করা হয় মানিকের নামে গত সরকারের আমলে মানিক নিজের নাম শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকা থেকে বাদ দিতে তদ্বির করে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওইসব অ্যাকাউন্টে দুই লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা জমা হওয়ার প্রমাণ রয়েছে
স্থানীয় সূত্র জানায়, জেসমিন এখন তার ভাইয়ের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে জেসমিন এফপ্রিমিও ঢাকা মেট্রো -৩১-৪৮৯৩ নম্বর গাড়িটিতে ঘুরে বেড়ায় শাহজাহানপুরের একটি বাড়িতে প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসীদের নিয়ে আসর বসে ওই গাড়ীটি মাঝে মধ্যে ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের পাশেও দেখা যায় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় রাজধানীর বাড্ডাতেও এদের নিয়মিত আড্ডা বসে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে
রাজধানীর পুরান ঢাকার এক গডফাদারকে সম্প্রতি ্যাব গ্রেফতার করে তার মেয়ে এখন আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা যায় স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই পরিবারের হাতে এখনো এলাকার মানুষ জিম্মি
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, স্বজনদের মাধ্যমে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কাছে প্রবাসে অর্থ পৌঁছে যাচ্ছে এমন তথ্য তাদের কাছেও রয়েছে অর্থ পাচাররোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইউনিটগুলো সক্রিয় রয়েছে

সূত্র - আবু সালেহ আকন, নয়াদিগন্ত।

আমরা কি এমন প্রধানমন্ত্রী পেতে পারি না

আমরা কি এমন প্রধানমন্ত্রী পেতে পারি না 

             **********  নিঃস্ব এক প্রধানমন্ত্রী  *******


বিশ্বের দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট খ্যাত উরুগুয়ের জোসে মুজিকা তার সততার দাপটে সম্প্রতি বেশ আলোচিত হয়েছেন। তবে জোসের সেই সুখ্যাতিকেও ধূলোয় মিশিয়ে দিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা। সঞ্চয়ের ফুটো থলেতে কানাকড়িও মজুদ নেই তার। হতদরিদ্র প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সম্পদের বিবরণী পূরণ করতে গিয়ে বিপদেই পড়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সম্পদ বলতে দুটি মুঠোফোন ছাড়া আর কিছুই নেই প্রধানমন্ত্রীর! আর সংজ্ঞা অনুযায়ী মুঠোফোন সম্পদ হিসেবে তালিকভুক্ত করতে না পারায় শুধু তার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে বাকি ঘরগুলো ফাঁকাই রাখতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। চলতি বছরের ফেব্র“য়ারিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন সুশীল কৈরালা। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর জন্য বাসভবন হিসেবে নির্মিত ভবনটিতে ওঠার আগ পর্যন্ত নেপালি কংগ্রেসের প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ রাজধানী কাঠমাণ্ডুর এক প্রান্তে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তাও আবার তার দলের পক্ষ থেকে ওই বাসাটি ভাড়া করা হয়েছিল। নেপালের প্রধানমন্ত্রী ৭৫ বছর বয়সী সুশীল কৈরালার মুখ্য সচিব বসন্ত গৌতম শনিবার জানান, সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য বেশ পরিচিত তাদের প্রধানমন্ত্রী। দুটি মুঠোফোন ছাড়া আর কোনো সম্পদ তার নেই। বেশ উদ্বেগের সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘কৈরালার এমন কোনো সম্পদ নেই যা বিবরণীতে উল্লেখ করা যায়। তার বাড়ি-ঘর নেই, জমি নেই, নেই কোনো বিনিয়োগও। আর গাড়ি কিংবা মোটরবাইকও নেই। এমনকি সোনাদানা বা রুপা কিংবা অন্য কোনো ধরনের সম্পদ নেই। ফলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী সম্পদের বিবরণী জমা দেয়ার জন্য তৈরি করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে গেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।’
২০০৮ সালে গণপ্রজাতান্ত্রিক নেপালে প্রথমবার ফেডারেল সরকারব্যবস্থা প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকে সুশীল কৈরালা দেশটির নির্বাচিত সপ্তম প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের ১১ ফেব্র“য়ারি অবিবাহিত কৈরালা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেও এখনও অত্যন্ত সাদামাটাভাবেই জীবনযাপন করছেন। সূত্র পিটিআই, টাইমস্ অব ইন্ডিয়া।
সূত্র - যুগান্তর ।

Wednesday, March 12, 2014

সঠিক রোগ নির্ণয়ের খরচ কত হওয়া উচিত ?

সঠিক রোগ নির্ণয়ের খরচ কত হওয়া উচিত  ?

রোগ নির্ণয়ের খরচ ঠিক করবে কে?

 
ছক-১সরকারি হাসপাতালে রক্তের একটি নমুনা পরীক্ষা করানোর খরচ দেড় শ টাকা। একই পরীক্ষা করাতে কোথাও কোথাও তিন গুণ পর্যন্ত বেশি খরচ পড়ছে। শুধু রক্ত পরীক্ষা নয়, আরও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রোগীদের পড়তে হচ্ছে একই সমস্যায়।
বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব প্যাথলজিস্ট বলছে, রোগ নির্ণয়ে কোন পরীক্ষার জন্য কত টাকা রোগীদের দিতে হবে, সরকার সে বিষয়ে কখনো কোনো নির্দেশনা দেয়নি। সে কারণে সরকারি হাসপাতালগুলোর তুলনায় বেসরকারি হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের খরচ অনেক বেশি। এ ছাড়া সিংহভাগ চিকিত্সক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেন। আর ওই কমিশনের টাকা রোগীদের পকেট থেকে উসুল করা হচ্ছে ।
এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, চিকিত্সকদের যৌক্তিক ব্যবস্থাপত্র লিখতে শিখতে হবে। সরকারকে ব্যবস্থাপত্র নিরীক্ষণের (অডিট) উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য চিকিত্সককে শাস্তি দেওয়া না, বরং চিকিত্সকেরা যেন নৈতিক ও যৌক্তিক ব্যবস্থাপত্র লেখেন তা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া কোন পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ কত টাকা লাগবে, সে বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে বলে তিনি মনে করেন। 
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এক অনুষ্ঠানে রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার এই ব্যয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কিন্তু প্রায় দুই বছর ধরে বেসরকারি চিকিত্সাসেবা আইন অনুমোদনের অপেক্ষায় মন্ত্রণালয়ের টেবিলে টেবিলে ঘুরছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল বিভাগের পরিচালক আবদুল হান্নানের দাবি, আইনটির খসড়া চূড়ান্ত হয়ে গেছে। যেকোনো দিন পাস হয়ে যাবে। তখন আর কোনো নৈরাজ্য থাকবে না।
খরচের ফারাক: জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান মো. শামিউল ইসলাম বলেন, মূত্র পরীক্ষার প্রাথমিক ও প্রধান উদ্দেশ্য হলো মূত্রের মাধ্যমে সুগার বা প্রোটিন যাচ্ছে কি না তা দেখা। এটি পরীক্ষা জন্য যে স্ট্রিপটি ব্যবহার হয়, তার দাম ১০ টাকা। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের দাবি, তারা ইউরিন অ্যানালাইজার ব্যবহার করে। তাতেও খরচ ৫০ টাকার ওপরে যাওয়ার কথা নয়।
ছক-২সরকারি হাসপাতালের তুলনায় বারডেমে খরচ কিছুটা বেশি হওয়ার কী কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক শহিদুল হক মল্লিক বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যন্ত্রপাতি কেনা হয় তিনভাবে। নগদ টাকা দিয়ে, কিস্তিতে এবং রি-এজেন্ট এগ্রিমেন্ট প্ল্যানে (র্যাপ)। র্যাপের আওতায় যেসব যন্ত্রপাতি কেনা হয়, সেগুলোর রিএজেন্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে কেনার বাধ্যবাধকতা আছে। সে কারণে অনেক সময় দামের তারতম্য হয়।
এ প্রসঙ্গে ইউনাইটেড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের টার্গেট গ্রুপ তাঁরাই, যাঁরা চিকিত্সা করাতে বিদেশে যান। এখানে সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিতে তাত্ক্ষণিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণ, পরামর্শকের সম্মানী সব বিষয় বিবেচনায় রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যয় ঠিক করা হয়।’ ল্যাবএইড হাসপাতালের অন্যতম পরিচালক আল ইমরান চৌধুরী বলেছেন, সরকারি হাসপাতালগুলো রোগ নির্ণয়ের খাতে প্রচুর ভর্তুকি দেয়। বেসরকারি খাতে সে সুবিধা নেই। তারপর কোন হাসপাতাল কী দামের রি-এজেন্ট ব্যবহার করছে, কোন যন্ত্রে পরীক্ষা করছে, সেটাও দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ বি এম হারুন প্রথমআলোকে বলেন, বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বেশির ভাগেরই খরচ একই রকম। কিছু ব্যয়বহুল হাসপাতালে খরচ বেশি। সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না। সরকার পরামর্শকদের খরচ বহন করে, কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজেদের এই খরচ বহন করতে হয়।
এ দিকে বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব প্যাথলজিস্টের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান মালিহা হুসেইন প্রথম আলোকে বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো সময়ের প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যয় ২০-৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়াতে পারে। তারা তা না করে এক লাফে এক-দেড় শ টাকা পর্যন্ত বাড়ায়। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের শিক্ষকেরাই এখানে কাজ করেন। তাঁদের বেতন কিন্তু দফায় দফায় বাড়ে না।
সূত্র -  সাবিহা আলম , দৈনিক প্রথম আলো

ঔষধের দামে কারসাজি !

ঔষধের দামে কারসাজি ! কোম্পানীর পোয়াবারো- নিষ্পেষিত ভোক্তা !!

--  একই ওষুধের দামে ব্যবধান ২৫০%  - - -

স্কয়ার ফার্মার সিপ্রোসিন ট্যাবলেট পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ১৩ টাকায় একই গ্রপের ওষুধ এসকেএফের কুইনক্স বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা, ইনসেপ্টার বিউফ্লক্স ১৩ অ্যালবিয়নের সিপ্রফ্লোক্সাসিন টাকা ৫০ পয়সায় অর্থাৎ ওষুধ এক হলেও কোম্পানিভেদে দামের ব্যবধান সর্বোচ্চ ২৫০ শতাংশ সিপ্রফ্লোক্সাসিনই শুধু নয়, কোম্পানিভেদে দামে বড় ধরনের ব্যবধান রয়েছে অন্যান্য ওষুধেও
কম দামে ওষুধ বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো বলছে, বড় কোম্পানিগুলো বিপণনে চিকিৎসকদের পেছনে মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করছে কারণে তাদের ওষুধের দাম বেড়ে যাচ্ছে যদিও বড় কোম্পানির প্রতিনিধিদের দাবি, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার গুণগত মান ঠিক রাখার কারণেই তাদের ওষুধ উৎপাদনে খরচ বেশি পড়ছে দামও সে কারণে কিছুটা বেশি
ওষুধের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অ্যালবিয়ন ল্যাবরেটরিজের প্রতিটি রেনিটিডিন ট্যাবলেট পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৬৩ পয়সায় ব্রিস্টল কোম্পানির নিওসেপটিন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ পয়সায় অথচ একই গ্রপের ওষুধ স্কয়ারের নিওটেক বেক্সিমকোর নিওসেপটিন আর বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি টাকা ২৫ পয়সায় ওমেপ্রাজল ২০ মিলিগ্রামের প্রতিটি সেকলো স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পাইকারিতে বিক্রি করছে টাকা ৩০ পয়সায় এসকেএফের একই গ্রপের লোসেকটিল বিক্রি হচ্ছে টাকা ২০ পয়সায়, ইনসেপ্টার ওমেনিক্স টাকা ৩০ অ্যালবিয়নের লোটিল টাকায়
ব্যথানাশক ওষুধ ডাইক্লোফেনাক গ্রপের প্রতিটি ডাইক্লোফেন এসআর ট্যাবলেট অপসোনিন বিক্রি করছে টাকা ৬০ পয়সায় স্কয়ারের একই গ্রপের ওষুধ ক্লোফেনাক এসআর বিক্রি হচ্ছে টাকা ৫০ পয়সা অ্যালবিয়নের ক্লোফেন মাত্র ৯৫ পয়সায় একইভাবে স্কয়ার ফার্মার প্রতিটি সেফ- ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে ৩১ টাকা, ইনসেপ্টার এমিক্সেফ ২৮ অ্যালবিয়নের সেফিক্সিম ১৫ টাকায়
কোম্পানিভেদে ওষুধের দামে বড় ধরনের ফারাক সম্পর্কে ব্রিস্টল ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শমসের আলম ভুঁইয়া বলেন, ছোট-বড় সব কোম্পানিই একই কাঁচামাল ব্যবহার করছে মোটা অঙ্কের মুনাফা করায় বড় কোম্পানির ওষুধের দাম বেশি বিপণন কৌশল হিসেবে চিকিৎসকদের পেছনে তারা বেশি ব্যয় করে অন্যদিকে ছোট কোম্পানিগুলো দোকানির মাধ্যমে সরাসরি ভোক্তার কাছে ওষুধ পৌঁছে দেয় তাই তারা অপেক্ষাকৃত কম দামে ওষুধ বিক্রি করতে পারছে
বাজার চাহিদাকে পুঁজি করে অনেকে একচেটিয়া ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে খোদ ওষুধ শিল্পসংশ্লিষ্টদের মধ্যেই কয়েকটি ওষুধ কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, একটি সিপ্রফ্লোক্সাসিন ট্যাবলেট তৈরিতে সর্বোচ্চ ব্যয় টাকা যদিও বড় কোম্পানিগুলো তা বিক্রি করছে ১২-১৩ টাকায় অথচ গ্রপের সব ওষুধ একই কাঁচামালে তৈরি হয় আর প্রতিটি কোম্পানিই গুণগত মান বজায় রাখার চেষ্টা করে
বিপণন কার্যক্রমে বড় ধরনের অর্থ ব্যয়ের কথা স্বীকার করে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, একেক কোম্পানির মার্কেট পলিসি একেক রকম আর ওষুধের বিশেষ বিপণন ব্যবস্থা সারা বিশ্বেই প্রচলিত নতুন চিকিৎসকদের কাছে ওষুধের নাম-পরিচয় পৌঁছে দিতে কোম্পানির প্রমোশন কর্মকর্তারা নিয়মিত চিকিৎসকদের কাছে যান, বিশেষ কোনো ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান এক্ষেত্রে ব্যয় বেশি হওয়া স্বাভাবিক ওষুধের গুণগত আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে খরচ বেশি হচ্ছে উন্নতমানের কাঁচামাল আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার কারণে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছে
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে ওষুধ তৈরির কোম্পানি রয়েছে প্রায় ৩০০ এর মধ্যে ভালো মানের ওষুধ তৈরি করছে ২০-২৫টি কোম্পানি সঠিক মান নিশ্চিত করে কোম্পানিগুলো ওষুধ তৈরি করছে কিনা, তা দেখার দায়িত্ব ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক গোলাম কিবরিয়ার দাবি, ছোট বা বড় কোম্পানির ওষুধে গুণগত মানে কোনো তফাত নেই নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করেই তারা ওষুধ তৈরি করছে তবে মান নিশ্চিত করার বিষয়টি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর দেখলেও ওষুধের দাম নির্ধারণে কোম্পানিগুলো স্বাধীন তাই নিজস্ব বিপণন কৌশল অনুযায়ী কোম্পানিগুলো বাজারে ওষুধ বিক্রি করছে
ওষুধ বিক্রেতারা বলছেন, একই গ্রপের ওষুধের দামে বিশাল ব্যবধান হলে তাদেরকে গ্রাহকের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় অনেক গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করে নানা ধরনের কথা বলেন কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের করার কিছুই নেই কোম্পানি যে দাম নির্ধারণ করে দেয়, সে দামেই তাদের ওষুধ বিক্রি করতে হয় রাজধানীর পুরান ঢাকার রাতুল মেডিসিনের বিক্রেতা কবির আহমেদ বলেন, প্রতিটি গ্রপের ওষুধ যেমন কম দামের রয়েছে, তেমনি বিশি দামেরও রয়েছে বড় কোম্পানিগুলো সবসময় ওষুধের দাম বেশি রাখে
একমি ল্যাবরেটরি লিমিটেডের বিপণন কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম মনে করেন, কোম্পানিভেদে ওষুধের দামে কিছুটা ফারাক থাকতেই পারে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সবাই দাম কমিয়ে পণ্য বিক্রির চেষ্টা করে তবে অস্বাভাবিক কম দামে ওষুধ বিক্রি হলে সেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায় আর যেসব ওষুধ বিক্রি করে বেশি লাভ হয়, দোকানিরা সেগুলোই কৌশলে ভোক্তার হাতে দেন শহরের চেয়ে গ্রামে ধরনের কাজ বেশি হচ্ছে

সূত্র – দৈনিক আমাদের সময়