অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না, সামনে বিপদ
জীবাণুরোধী ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহারে জীবাণুগুলো দিন দিন ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, এখন এই জীবাণুরোধী (অ্যান্টিবায়োটিক) ব্যবস্থাই সারা বিশ্বের মানুষের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে উঠেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে জীবাণু ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। এতে অচিরেই খুব সাধারণ সংক্রমণ, সামান্য কাটাছেঁড়া থেকে মৃত্যু হবে মানুষের। বিশ্বের ১১৪টি দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে ‘অ্যান্টিবায়োটিক-পরবর্তী যুগ’ বলে একটি কথা ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, খুব দ্রুত যদি এ ব্যাপারে ‘তাত্পর্যপূর্ণ’ উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে বিপর্যয় এড়ানো অসম্ভব হয়ে উঠবে।
প্রতিবেদনে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও রক্তের সংক্রমণের জন্য দায়ী সাতটি আলাদা ধরনের ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের রোগীদের ওপর দুটি প্রধান অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে দেখা গেছে, এগুলো আর কাজ করছে না। এদের একটি কার্বাপেনেম। নিউমোনিয়া, রক্তে প্রদাহ ও নবজাতকদের দেহে প্রদাহের মতো রোগ নিরাময়ে এই অ্যান্টিবায়োটিকটি ব্যবহূত হয়ে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে জীবাণু ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। এতে অচিরেই খুব সাধারণ সংক্রমণ, সামান্য কাটাছেঁড়া থেকে মৃত্যু হবে মানুষের। বিশ্বের ১১৪টি দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে ‘অ্যান্টিবায়োটিক-পরবর্তী যুগ’ বলে একটি কথা ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, খুব দ্রুত যদি এ ব্যাপারে ‘তাত্পর্যপূর্ণ’ উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে বিপর্যয় এড়ানো অসম্ভব হয়ে উঠবে।
প্রতিবেদনে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও রক্তের সংক্রমণের জন্য দায়ী সাতটি আলাদা ধরনের ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের রোগীদের ওপর দুটি প্রধান অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে দেখা গেছে, এগুলো আর কাজ করছে না। এদের একটি কার্বাপেনেম। নিউমোনিয়া, রক্তে প্রদাহ ও নবজাতকদের দেহে প্রদাহের মতো রোগ নিরাময়ে এই অ্যান্টিবায়োটিকটি ব্যবহূত হয়ে থাকে।
বলা হচ্ছে, চিকিত্সকেরা এ ধরনের ওষুধ বেশি ব্যবহার করায় এবং রোগীরা ওষুধ ঠিকমতো না খাওয়ায় জীবাণু ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, একদিকে আরও নতুন নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে সরকার ও সাধারণ মানুষের উচিত হবে অ্যান্টিবায়োটিকের সুচিন্তিত ব্যবহার নিশ্চিত করা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি অনুষদের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হাতে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকের সংখ্যা খুব কমে আসছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোয় সংক্রামক রোগ বেশি, অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজনও বেশি। কিন্তু বিশ্বে যত ওষুধ তৈরি হচ্ছে তার মাত্র নয় ভাগ কেনে উন্নয়নশীল দেশগুলো। উন্নত দেশগুলোর দৃষ্টি এখন অসংক্রামক ব্যাধির দিকে, বা স্থূলতা, টাক মাথায় চুল গজানো ধরনের রোগের দিকে। উন্নত দেশগুলো নতুন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরিতে খুব একটা আগ্রহী নয়।’
সাধারণ রোগ সহজে সারছে না: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মূত্রতন্ত্রের প্রদাহের জন্য যে অ্যান্টিবায়োটিক আছে, গত শতকের আশির দশক থেকে তা খুব কম কাজ করছিল। এখন এটি একেবারে অকার্যকর হয়ে গেছে।
গবেষকেরা দেখেছেন, যৌনরোগ গনোরিয়ার ওষুধ খোদ যুক্তরাজ্যে আর কাজ করছে না। গনোরিয়ার কারণে বন্ধ্যত্ব দেখা দিতে পারে।
সারা বিশ্বে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন গনোরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো কোনো দেশে অর্ধেক জনগোষ্ঠীর ওপর আর অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজ করবে না এমন আশঙ্কা রয়েছে।
ড. কেজি ফুকুদা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে সবার সমন্বিত চেষ্টা দরকার। কারণ বিশ্ব এখন অ্যান্টিবায়োটিক পরবর্তী যুগে প্রবেশ করতে চলেছে। খুব সাধারণ সংক্রমণ, সামান্য কাটাছেঁড়া থেকে মানুষ মারা যাবে। অথচ শুধু অ্যান্টিবায়োটিক থাকায় এ রোগগুলো খুব সহজেই সারত বা সেরেছে এতকাল।
গবেষকেরা দেখেছেন, যৌনরোগ গনোরিয়ার ওষুধ খোদ যুক্তরাজ্যে আর কাজ করছে না। গনোরিয়ার কারণে বন্ধ্যত্ব দেখা দিতে পারে।
সারা বিশ্বে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন গনোরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো কোনো দেশে অর্ধেক জনগোষ্ঠীর ওপর আর অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজ করবে না এমন আশঙ্কা রয়েছে।
ড. কেজি ফুকুদা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে সবার সমন্বিত চেষ্টা দরকার। কারণ বিশ্ব এখন অ্যান্টিবায়োটিক পরবর্তী যুগে প্রবেশ করতে চলেছে। খুব সাধারণ সংক্রমণ, সামান্য কাটাছেঁড়া থেকে মানুষ মারা যাবে। অথচ শুধু অ্যান্টিবায়োটিক থাকায় এ রোগগুলো খুব সহজেই সারত বা সেরেছে এতকাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ, হাসপাতালে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং রোগ প্রতিরোধে টিকা ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।
গত বছর যুক্তরাজ্যের প্রধান চিকিত্সা কর্মকর্তা প্রফ ডেম স্যালি ডেভিস বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার মতো ভয়াবহ ওষুধ প্রতিরোধী রোগগুলো।
মেডিসিন স্যানস ফ্রন্টিয়ার্সের চিকিত্সা পরিচালক জেনিফার কোন বলেন, ‘যেদিকেই তাকাই, অ্যান্টিবায়োটিকের জীবাণু প্রতিরোধী হয়ে ওঠা দেখি। সেটা নাইজারের পুষ্টিকেন্দ্র হোক আর সিরিয়ায় অস্ত্রোপচার ইউনটিই হোক।’ তিনি বলেন, ‘মূলত এ প্রতিবেদনটি একটি সতর্কবার্তা। এখনই জেগে উঠতে হবে। নতুন নতুন অ্যান্টিবায়োটিক উত্পাদন ও বাজারজাতকরণে সরকারগুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে। পেটেন্টের কথা চিন্তা করলে হবে না। উন্নয়নশীল দেশগুলোর চাহিদাকে মাথায় রাখতে হবে।
জেনিফার বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের যা প্রয়োজন, অ্যান্টিবায়োটিকের বিবেচনাপ্রসূত ব্যবহার। উন্নতমানের অ্যান্টিবায়োটিক যেন তাদের কাছেই পৌঁছায়, যাদের এটা প্রয়োজন। আবার খেয়াল রাখতে হবে, এগুলো যেন বেশি ব্যবহার না হয় এবং দামও যেন খুব বেশি না হয়।
সূত্র - প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment