Sunday, November 8, 2015

হেঁটে স্কুলে যাবে ওরা!


হেঁটে স্কুলে যাবে ওরা!

সরকারের স্কুলে ভর্তিতে কোটা প্রথাকে স্বাগত জানাই

ঢাকা শহরে স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় যানজট সমস্যা সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। একটি শিশুর জন্য একটি গাড়ি ব্যবহার এই যানজট সৃষ্টির অন্যতম  কারণ। স্কুলে হেঁটে যাতায়াতের মাধ্যমে যানজট হ্রাস পাবে। ভালো থাকবে শিশুর স্বাস্থ্য, কমবে পরিবেশ দূষণ এবং যাতায়াত খরচও সাশ্রয় হবে।

হেঁটে স্কুলে যাবে ওরা!
 এজন্য প্রতিটি কমিউনিটিতে সমমানের স্কুল থাকা এবং স্থানীয় স্কুলে শিশুদের পড়ালেখা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। যাতে করে অল্প দূরত্বে শিশুরা হেঁটে স্কুলে যেতে পারে। সম্প্রতি সরকার এ বিষয়টি বিবেচনা করে স্থানীয়দের জন্য স্কুলে ৪০ শতাংশ কোটা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশুদের অল্প দূরত্বের মধ্যে হেঁটে স্কুলে যাতায়াতের পথকে সুগম করা যায়। পাশাপাশি বর্তমানে অনেক স্কুলেই শিশুরা হেঁটে যাতায়াত করে। তাদের হাঁটার সুবিধার্থে নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দময় পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।
 
সমপ্রতি রায়ের বাজার বৈশাখী খেলার মাঠে ধানমন্ডি কচিকণ্ঠ হাই স্কুল, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত ‘নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দে হেঁটে স্কুলে যাতায়াতের পরিবেশ সৃষ্টিতে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেয়াল অঙ্কন কর্মসূচি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন মো: হাসান উল হামিদ খান, গভর্নিংবডির চেয়ারম্যান, রায়ের বাজার হাই স্কুল। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রায়ের বাজার থেকে শংকর পর্যন্ত বিভিন্ন দেয়ালে সচেতনতামূলক স্লোগান অঙ্কন করে।
 
দেয়াল অঙ্কন কর্মসূচি পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন, ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট স্টাডি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরে স্কুলে হেঁটে ৩০ শতাংশ যাতায়াত হয়। অভিভাবকদের পছন্দানুযায়ী স্কুলে সন্তানদের পড়ানোর জন্য দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে গাড়ির উপর নির্ভরশীলতা দেখা যায়। এমনকি অনেক সময় সামাজিক মর্যাদা বাড়ানোর ভ্রান্ত ধারণা থেকে অনেকেই অল্প দূরত্বেও সন্তানদের গাড়ি করে আনা-নেয়া করে থাকেন। তবে হাঁটার পরিবেশ উন্নত না হওয়ার কারণেও অনেকেই গাড়ি অথবা রিকশার উপর নির্ভরশীল।
Source রফিকুল ইসলাম (Daily Ittefak)

0 comments:

Post a Comment