আমরা কি এমন প্রধানমন্ত্রী পেতে পারি না
********** নিঃস্ব এক প্রধানমন্ত্রী *******
বিশ্বের দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট খ্যাত উরুগুয়ের জোসে মুজিকা তার সততার দাপটে সম্প্রতি বেশ আলোচিত হয়েছেন। তবে জোসের সেই সুখ্যাতিকেও ধূলোয় মিশিয়ে দিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা। সঞ্চয়ের ফুটো থলেতে কানাকড়িও মজুদ নেই তার। হতদরিদ্র প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সম্পদের বিবরণী পূরণ করতে গিয়ে বিপদেই পড়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সম্পদ বলতে দুটি মুঠোফোন ছাড়া আর কিছুই নেই প্রধানমন্ত্রীর! আর সংজ্ঞা অনুযায়ী মুঠোফোন সম্পদ হিসেবে তালিকভুক্ত করতে না পারায় শুধু তার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে বাকি ঘরগুলো ফাঁকাই রাখতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। চলতি বছরের ফেব্র“য়ারিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন সুশীল কৈরালা। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর জন্য বাসভবন হিসেবে নির্মিত ভবনটিতে ওঠার আগ পর্যন্ত নেপালি কংগ্রেসের প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ রাজধানী কাঠমাণ্ডুর এক প্রান্তে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তাও আবার তার দলের পক্ষ থেকে ওই বাসাটি ভাড়া করা হয়েছিল। নেপালের প্রধানমন্ত্রী ৭৫ বছর বয়সী সুশীল কৈরালার মুখ্য সচিব বসন্ত গৌতম শনিবার জানান, সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য বেশ পরিচিত তাদের প্রধানমন্ত্রী। দুটি মুঠোফোন ছাড়া আর কোনো সম্পদ তার নেই। বেশ উদ্বেগের সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘কৈরালার এমন কোনো সম্পদ নেই যা বিবরণীতে উল্লেখ করা যায়। তার বাড়ি-ঘর নেই, জমি নেই, নেই কোনো বিনিয়োগও। আর গাড়ি কিংবা মোটরবাইকও নেই। এমনকি সোনাদানা বা রুপা কিংবা অন্য কোনো ধরনের সম্পদ নেই। ফলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী সম্পদের বিবরণী জমা দেয়ার জন্য তৈরি করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে গেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।’
২০০৮ সালে গণপ্রজাতান্ত্রিক নেপালে প্রথমবার ফেডারেল সরকারব্যবস্থা প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকে সুশীল কৈরালা দেশটির নির্বাচিত সপ্তম প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের ১১ ফেব্র“য়ারি অবিবাহিত কৈরালা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেও এখনও অত্যন্ত সাদামাটাভাবেই জীবনযাপন করছেন। সূত্র পিটিআই, টাইমস্ অব ইন্ডিয়া।
0 comments:
Post a Comment