চাঁদাবাজির
টাকায় বিদেশে
শীর্ষ সন্ত্রাসীদের
আলিশান জীবনযাপন
চাঁদাবাজির
টাকায় বিদেশে
আলিশান জীবনযাপন
করছে ঢাকার
শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। প্রতিমাসে
লাখ লাখ
টাকা যাচ্ছে
এসব সন্ত্রাসীর
নামে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, দীর্ঘ দিন
দেশের বাইরে
পলাতক থাকলেও
তাদের অপরাধের
সাম্রাজ্য ঠিকই অটুট আছে।
এমনকি কোনো
কোনো ক্ষেত্রে
তাদের মা-ভাই-বোন
ও স্ত্রী-সন্তানেরাও জড়িয়ে
পড়েছে এসব
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে। তাদের অ্যাকাউন্টে
জমা হচ্ছে
লাখ লাখ
টাকা।
পরে এ
টাকাই যাচ্ছে
প্রবাসে।
রাজধানীর
সন্ত্রাসীদের মধ্যে যারা পলাতক রয়েছে
তাদের বেশির
ভাগই বর্তমানে
ভারতে অবস্থান
করছে বলে
জানা যায়। প্রবাসে
থাকলেও এসব
সন্ত্রাসীর নামেই চলছে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড। তাদের
নামে উত্তোলন
হচ্ছে কোটি
কোটি টাকা। নানাভাবে
এ টাকা
পৌঁছে যাচ্ছে
তাদের কাছে। রাজধানীর
মোহাম্মদপুরের হারিস ওরফে হারেসও ভারতে
অবস্থান করছে
বলে জানা
যায়।
হারিসের অপর
ভাই যোসেফ
বর্তমানে জেলে
রয়েছে।
যোসেফের নামে
প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা যাচ্ছে
বলে স্থানীয়
সূত্র জানায়। রাজধানীর
অপর এক
সন্ত্রাসী নবীর নামে প্রতিমাসে লাখ
লাখ টাকা
চাঁদা আদায়
হচ্ছে রাজধানীর
পশ্চিম এলাকা
থেকে।
অনেকে সরাসরি
তাকে ভারতে
টাকা পাঠিয়ে
দিচ্ছে বলে
জানা যায়। মিরপুরের
শাহাদাতের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে
মিরপুর, পল্লবী,
কাফরুল, শাহআলী,
দারুস সালামসহ
বিভিন্ন এলাকায়।
সূত্র
জানায়, শাহাদাতের
জন্য প্রতিমাসে
লাখ লাখ
টাকা যাচ্ছে
এ দেশ
থেকে।
শাহাদাত বেশির
ভাগ সময়
ভারতেই অবস্থান
করছে বলে
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। শীর্ষ
সন্ত্রাসী প্রকাশ ও বিকাশ বর্তমানে
প্রতিবেশী দেশ ভারতে অবস্থান করছে। তাদের
একজন আগে
থেকেই ভারতে
ছিল।
আর গত
সরকারের শেষভাগে
অপরজন জামিনে
মুক্তি পেয়ে
গোপনে ভারত
চলে যায়। প্রশাসনের
কিছু সদস্য
তাকে ভারতে
যেতে সহায়তা
করেছে বলে
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। এ
দুই ভাইয়ের
নামে লাখ
লাখ টাকা
উত্তোলন হচ্ছে
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
সরাসরি এ
অর্থ চলে
যাচ্ছে প্রবাসে। এভাবে
রাজধানীর কাওরান
বাজারের আশিক,
পুরান ঢাকার
সহিদ কমিশনারের
বেশ কয়েকজন
অনুসারীসহ অনেক সন্ত্রাসীই বর্তমানে দেশের
বাইরে অবস্থান
করছে।
পুরান ঢাকার
একাধিক সূত্র
জানায়, সহিদ
কমিশনার অস্ত্রসহ
র্যাবের
হাতে গ্রেফতার
হওয়ার পরে
তার অনুসারীদের
বেশ কয়েকজন
ওই দিনই
দেশ ছেড়ে
পালিয়েছে।
ওই সন্ত্রাসীদের
নামেও এখন
চাঁদাবাজি চলছে বলে জানা গেছে।
কাফরুলের
কিলার আব্বাস
বর্তমানে জেলে
রয়েছে।
তার স্ত্রী
ওই এলাকার
আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করছে বলে স্থানীয়
সূত্র জানায়। একইভাবে
সুইডেন আসলাম
জেলে অবস্থান
করলেও তার
আন্ডারওয়ার্ল্ড এখনো টিকিয়ে রেখেছে তার
স্ত্রী।
তার স্ত্রীসহ
কয়েক সহযোগী
এখন সুইডেন
আসলামের নামে
চাঁদা উত্তোলন
করছে।
একাধিক
সূত্র জানায়,
যেসব সন্ত্রাসী
বিভিন্ন দেশে
পলাতক রয়েছে
তাদের আত্মীয়-স্বজনদেরও অনেকে
চাঁদার টাকা
আদায় এবং
তা প্রবাসে
পাঠানোর কাজ
করছে।
ওইসব সন্ত্রাসীরা
প্রবাসে থাকায়
তাদের আত্মীয়-স্বজনদের অ্যাকাউন্টে
জমা হচ্ছে
চাঁদার টাকা।
সংশ্লিষ্ট
সূত্র জানায়,
রাজধানীর ৩২
মামলার আসামি
তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফর আহমেদ
মানিক বর্তমানে
ভারতে অবস্থান
করলেও নামে
চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। অভিযোগ
রয়েছে, কয়েক
দিন আগেও
এ বাহিনীর
সদস্যরা চাঁদার
জন্য একটি
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে
তালা ঝুলিয়ে
দেয়।
সূত্র
জানায়, তার
নামে যে
চাঁদা আদায়
হচ্ছে তার
বেশির ভাগ
জমা হচ্ছে
তার মা
হাফিজা ও
বোন জেসমিনের
ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। ওই
অ্যাকাউন্ট থেকেই পরে তা ট্রান্সফার
করা হয়
মানিকের নামে। গত
সরকারের আমলে
মানিক নিজের
নাম শীর্ষ
সন্ত্রাসীদের তালিকা থেকে বাদ দিতে
তদ্বির করে। সংশ্লিষ্ট
সূত্র জানায়,
ওইসব অ্যাকাউন্টে
দুই লাখ
থেকে ১০
লাখ টাকা
জমা হওয়ার
প্রমাণ রয়েছে।
স্থানীয়
সূত্র জানায়,
জেসমিন এখন
তার ভাইয়ের
হয়ে সন্ত্রাসী
কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। জেসমিন
এফপ্রিমিও ঢাকা মেট্রো গ-৩১-৪৮৯৩ নম্বর
গাড়িটিতে ঘুরে
বেড়ায়।
শাহজাহানপুরের একটি বাড়িতে প্রতি বৃহস্পতিবার
সন্ত্রাসীদের নিয়ে আসর বসে।
ওই গাড়ীটি
মাঝে মধ্যে
ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের পাশেও
দেখা যায়
বলে সংশ্লিষ্ট
সূত্র জানায়। রাজধানীর
বাড্ডাতেও এদের নিয়মিত আড্ডা বসে
বলে একটি
সূত্র জানিয়েছে।
রাজধানীর
পুরান ঢাকার
এক গডফাদারকে
সম্প্রতি র্যাব গ্রেফতার
করে।
তার মেয়ে
এখন আন্ডারওয়ার্ল্ড
নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা যায়। স্থানীয়
সূত্র জানায়,
ওই পরিবারের
হাতে এখনো
এলাকার মানুষ
জিম্মি।
পুলিশের
এক কর্মকর্তা
জানান, স্বজনদের
মাধ্যমে শীর্ষ
সন্ত্রাসীদের কাছে প্রবাসে অর্থ পৌঁছে
যাচ্ছে এমন
তথ্য তাদের
কাছেও রয়েছে। অর্থ
পাচাররোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইউনিটগুলো সক্রিয়
রয়েছে।
সূত্র
- আবু সালেহ আকন, নয়াদিগন্ত।
0 comments:
Post a Comment