সত্য জানি, সত্য মানি এবং সত্যের সাথে থাকি। সকল খবর হোক সত্য ও নিরপেক্ষ।

সত্যকে অস্বীকার কারনে, গত চার দশকে জাতি হিসাবে আমরা মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারিনি । স্বাধীনতার প্রায় অধ শতাব্দীতে জাতি তার কাঙ্তিত সাফল্য পায়নি।

মোর নাম এই বলে ক্ষ্যাত হোক – আমি তোমাদেরই লোক

যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ জাতি সমৃদ্ধিলাভ করেছে - আমরা তাদের ভুলব না । তোমরা অমর হয়ে থাকবে জাতীর ভাগ্যাকাশে। আমাদের ভালবাসা ও দোয়া রইল।

IT BD SOFT. একটি বিশ্বস্থ আইটি ট্রেনিং সেন্টার

------Pls visit http://itbdsoft.tk ------- কম্পিউটার শিক্ষা প্রসার ও বিকাশে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষা হোক সবার জন্য উম্মুক্ত ও সহজলভ্য।

পযটন হোক – জাতীয় উন্নতির একমাত্র হাতিয়ার।

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া। কক্সবাজার, সুন্দরবন, কুয়াকাটা, নীলগিরি সহ হাজারো দৃষ্টি নন্দন অপার সৌন্দার্য ছড়িয়ে আছে এ জমিনে – জানি ও সমৃদ্ধ করি দেশমাতৃকাকে।

IT BD SOFT. একটি বিশ্বস্থ আইটি ট্রেনিং সেন্টার

------Pls visit http://itbdsoft.tk ------- কম্পিউটার শিক্ষা প্রসার ও বিকাশে / এছাড়াও আমরা ডোমিন- হোষ্টিং বিক্রি /আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়ানো / সাইটিকে কে গুগল টপে আনতে আমাদের সাহায্য নিন।

Friday, August 28, 2015

ভ্রান্তিবিলাসের অজানা অধ্যায় জাসদের


ভ্রান্তিবিলাসের অজানা অধ্যায় জাসদের

জাসদ নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড চলছে রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী দলকে নিয়ে হঠাৎ বিতর্ক জমে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে আর বিতর্কের সূত্রপাত সরকারি দল থেকেই দীর্ঘ ৪৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত দলটির জন্ম আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সাহসী নেতাদের সমন্বয়ে শুরু থেকেই জাসদ ছিল দেশের রাজনীতিতে পরম বিস্ময় রহস্যঘেরা ধূমকেতুর মতো সামাজিক বিপ্লব বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের স্লোগান আর তারুণ্যের তেজি নেতৃত্বের টানে জাসদে শুরুতে দলে দলে ছুটে এসেছিল অগণিত তরুণ কিন্তু দিন শেষে সবাই হয়েছে বিপ্লবের নামে বিভ্রান্ত, আর সংগ্রামের নামে বিপর্যস্ত, হতাশ নেতাদের ভ্রান্তি, লক্ষ্যহীনতা আর হঠকারিতার চরম মূল্য দিতে হয়েছে জাসদের কর্মী-সমর্থকদের কালের বিচারে বেরিয়ে এসেছে- জাসদের বিপ্লব ছিল আসলে বিপ্লবের ভ্রান্তিবিলাস

জাসদের চমকপূর্ণ সৃষ্টি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুটি সম্মেলনকে ঘিরে ঢাকায় রেসকোর্স পল্টন ময়দানে ১৯৭২ সালের ২৩ জুলাই সম্মেলন দুটির আয়োজন করা হয়েছিল রেসকোর্সের সম্মেলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শেখ ফজলুল হক মণি, আবদুর রাজ্জাক তোফায়েল আহমেদের সমর্থনপুষ্ট নূরে আলম সিদ্দিকী আবদুল কুদ্দুস মাখন আর পল্টনের সম্মেলনের পেছনে ছিলেন সিরাজুল আলম খানের সমর্থনপুষ্ট আবদুর রব, শাজাহান সিরাজ প্রমুখ দুটি সম্মেলনের প্রধান অতিথি করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শেষ পর্যন্ত পল্টনের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু গেলেন না তিনি যোগ দেন রেসকোর্সের সম্মেলনে সম্মেলনের উদ্বোধন করে তিনি বললেন, গণতন্ত্রের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে হবে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা শেষে ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে স্লোগান ওঠে- ‘এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ, ত্যাগ কর সব বাদ কায়েম কর মুজিববাদএকই সময়ে পল্টনের সম্মেলনে আবদুর রব বললেন, ‘গণতন্ত্র দিয়ে সমাজতন্ত্র হবে না মার্কসবাদই হচ্ছে মুক্তির মতবাদকর্মীদের মাঝে স্লোগান ওঠে- ‘সামাজিক বিপ্লবের পথ ধর, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েম করসেদিন পল্টন ময়দানে বক্তাদের বক্তব্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জের সুর সম্মেলনে শরীফ নুরুল আম্বিয়াকে সভাপতি মাহবুবুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয় আর চ্যালেঞ্জেরই রাজনৈতিক বহিঃপ্রকাশ ঘটে চার মাস পর ৩১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ জন্মের শুরুতে জাসদের দর্শন ছিল বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র, সামাজিক বিপ্লব, শোষণহীন সমাজ মার্কসবাদ-লেনিনবাদের ভিত্তিতে একটি সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা দর্শন হিসেবে এসব কালের সেরা দর্শন কিন্তু বাস্তব একটু ভিন্নতর যে স্লোগান নিয়ে জাসদের প্রতিষ্ঠা, বাস্তবে তার লেশমাত্র আদর্শ তাদের কাজের মাঝে তখন ছিল না শুরু থেকেই জাসদের নেপথ্য নেতা ছিলেন সিরাজুল আলম খান স্বাধীনতার আগে তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ব্লু আই কর্মীরা তাকে ডাকতেন দাদা দাদার ইচ্ছায় দলের সভাপতি হন মেজর (অব.) এম জলিল এবং সাধারণ সম্পাদক হন আবদুর রব রবের গ্রহণযোগ্যতা সে সময় সামাজিক পরিবর্তনে বিশ্বাসী তরুণদের মাঝে যথেষ্টই ছিল কিন্তু মেজর জলিলের ব্যাপারে প্রশ্ন তখনো ছিল, এখনো আছে মেজর জলিল জীবনের শুরু থেকে জাসদে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত কখনো সমাজতান্ত্রিক মতে বিশ্বাসী ছিলেন না কারও কারও মতে, জলিলের মধ্যে বরাবর একটা সামন্তবাদী চিন্তাধারা ছিল ছোটবেলা থেকেই তিনি বুর্জোয়া চিন্তাধারায় বেড়ে ওঠেন সিরাজুল আলম খান সভাপতি না হয়ে জলিলকে কেন জাসদের সভাপতি করা হলো- সেই রহস্যের জট এখনো খোলেনি মুক্তিযুদ্ধে মেজর জলিল একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন যুদ্ধ শেষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলে তিনি চমক সৃষ্টি করেন ব্যাপক পরিচিতিও লাভ করেন কারণেই হয়তো তাকে সভাপতি করা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ১৯৭২ থেকে৭৫ সাল পর্যন্ত জাসদের সাংগঠনিক ভূমিকা ছিল অভিনব তবে দুর্বোধ্য শ্রমিক শ্রেণির মধ্যে সাংগঠনিক প্রভাব বিস্তারের চেয়ে জাসদ ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সংঘাতমূলক ভূমিকায় বেশি সক্রিয় ছিল ফলে জনগণের সামনে জাসদের রূপ ধরা পড়ে ভিন্নভাবে ব্যাপারটা এমনভাবে দেখা দেয়, যেন শ্রমিক শ্রেণির অধিকার আদায়ের চেয়ে ক্ষমতা দখলই ছিল জাসদের প্রধান টার্গেট বিপ্লবের স্বপ্নে আচ্ছন্ন জাসদ বেশ কিছু ভ্রান্ত কর্মসূচি হাতে নেয়, যেগুলোয় ক্ষমতা দখলের চেষ্টায় লিপ্ত বুর্জোয়া দলের চরিত্রই প্রকাশ পায় সিরাজুল আলম খানের চেগুয়েভারা হওয়ার স্বপ্ন দলকে বিভ্রান্তির পথে নিয়ে যায় আর বিভ্রান্তির প্রাথমিক পর্যায় হলো, ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও বুর্জোয়া সামাজিক পরিবেশ পরিস্থিতিতে একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে গোটা সমাজের চেহারা পরিবর্তন কখনো সম্ভব নয় অথচ এটা জাসদ নেতারা উপলব্ধি করতে চাননি বা পারেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাওয়ের জের হিসেবে হতাহত হলেন দলের বিপুলসংখ্যক কর্মী আর গ্রেফতার হন সিনিয়র নেতারা ঘটনার পর জাসদ আরও অভিনব রাজনীতিতে নামে গঠন করে গণবাহিনী গণবাহিনী গঠনের কারণ হিসেবে বলা হয়, যেহেতু ক্ষমতাসীনরা বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়, সেহেতু বলপ্রয়োগ করেই তাদের উচ্ছেদ করতে হবে মার্কসীয় ব্যাখ্যার আলোকে গণবাহিনী গঠন করা হলেও মার্কসীয় মতবাদকে পুরোপুরিভাবে গ্রহণ করেনি জাসদ মহামতি মার্কস বলেছেন, ‘পুরাতন সমাজব্যবস্থার গর্ভে নতুন সমাজ রূপ লাভ করার পরই দরকার বলপ্রয়োগ এর আগে নয়’ ’৭৪ ৭৫ সালের বলপ্রয়োগের মতো কোনো পরিস্থিতির জন্ম হয়নি তাহলে কি ধরে নেওয়া যায় না, সঠিক বিপ্লবী ভাবধারা থেকে জাসদ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিল? আর জাসদ গণঅভ্যুত্থানের যে চেষ্টায় লিপ্ত ছিল, সে পরিস্থিতিও তখন ছিল না লেনিনের মতে, ‘অভ্যুত্থান কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোনো দলের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল নয় সমাজের ক্রান্তিলগ্নে যখন পরিবর্তনকামী মানুষ তাদের অগ্রণী বাহিনীর নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উন্মুখ হবে তখনই অভ্যুত্থানের পরিস্থিতি পেকে উঠবে১৯৭৫ সালের নভেম্বর জাসদ গণঅভ্যুত্থানের যে চেষ্টা চালায় তাও বাস্তবানুগ ছিল না বিপ্লবের পর্যাপ্ত উপাদান অনুকূল পরিস্থিতি তখন ছিল না তবে৭৫ সালের নভেম্বর উপমহাদেশে প্রথম সমাজতান্ত্রিক সমাজ গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় সম্পর্কে পরবর্তীতে কমিউনিস্ট পার্টি নেতা কমরেড ফরহাদ বলেছিলেন, ‘জাসদ ধরনের উদ্যোগ নেবে জানলে আমরাও সহযোগিতার হাত বাড়াতামএখানে আরেকটি রহস্য ছিল বঙ্গবন্ধুর শাসনকালে সিরাজুল আলম খান এক দিনের জন্যও আটক হননি শুধু তাই নয়, ১৫ আগস্ট তিনি ছিলেন ভারতে এর আগে তার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই তিনি ঢাকা ছেড়েছিলেন সিরাজুল আলম খান নিয়েও কখনো মুখ খোলেননি জাসদ তৈরিতে ভারতের ভূমিকা ছিল বলে যে গুজব ছিল তা নিয়েও আজ পর্যন্ত কেউ কোনো কিছু স্পষ্ট করেননি তাদের ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েও রহস্য হঠকারিতা ছিল৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর জলিল, রব, কর্নেল (অব.) তাহেরসহ গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তির জন্য জাসদ ভারতীয় দূতাবাসে কমান্ডো হামলা চালায় তাদের টার্গেট ছিল হাইকমিশনারকে হাইজ্যাক করে দাবি আদায় করা কিন্তু হাইকমিশনের নিরাপত্তারক্ষীরা সে হামলা তছনছ করে দেন পাল্টা প্রতিরোধে ঝরে পড়ে জাসদের কয়েক কর্মীর প্রাণ আটক হন অনেকে সেই হামলাকারীদের একজন এখন আওয়ামী লীগের এমপি শুধু হঠকারী কর্মসূচি নয়, দলে অভ্যন্তরীণ বিরোধও ছিল সেই শুরু থেকেই সিরাজুল আলম খান রহস্যময় নেতা হিসেবে ঐক্য ধরে রাখেন কিন্তু বিপর্যয় শুরু জিয়াউর রহমানের আমলে নভেম্বরের ব্যর্থতায় ফাঁসি হয় কর্নেল তাহেরের এর মাঝে ১৯৭৬ সালের আগস্ট সরকার ঘোষিত পিপিআরের অধীনে জাসদ রাজনৈতিক অনুমোদন লাভ করে একই বছর দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক গণবাহিনী বাতিল করা হয় গণবাহিনী বাতিল, অ্যাকশনধর্মী তৎপরতা হ্রাস জিয়ার পদক্ষেপকে পরোক্ষ সমর্থন বলে প্রশ্নের সৃষ্টি করে ১৯৭৯ সালে সংসদ নির্বাচনের আগে কলহ-বিবাদের মধ্যেও জাসদ কিছুটা সক্রিয় ছিল নেতাদের জেলে রেখে দলের একটি অংশ৭৯ সালে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় কিন্তু রব কারাগার থেকে নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভও ব্যক্ত করেছিলেন নির্বাচনে জাসদ ৯টি আসন পায়৭৯ সালের শেষ দিকে দলে রাজনৈতিক বিরোধ চরমে৮০ সালে জাসদ নেতারা দাদার ইঙ্গিতে ১৮ দফার প্রতি পূর্ণ আস্থা সমর্থনই বিপর্যয় বাধে তা ছাড়া অস্পষ্ট পেটি বুর্জোয়া চিন্তাচেতনা তৎকালীন ছাত্র-যুব নেতৃত্বের কাছে রহস্যময় ঠেকে; যার পরিপ্রেক্ষিতে জাসদের যুব নেতৃত্ব প্রকাশ্য প্রতিবাদ জানায় ঘটনার জের হিসেবে৮০ সালের ১৪ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিবৃতি পাল্টা বিবৃতির ঝড় বয়ে যায়৮০ সালের সেই পরিস্থিতি নিয়ে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় রব মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় প্রতিবেদনে তারা দুজন দুজনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করেন এর কিছু দিন পর নভেম্বর জাসদ থেকে বেরিয়ে আসা নেতা-কর্মীদের সমন্বয়েবাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ’-এর জন্ম হয় ভাঙনে জাসদ রাজনীতির ভিত কেঁপে ওঠে ভাঙন সম্পর্কে পরবর্তীতে সাপ্তাহিকঢাকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘জাসদ ভাঙার কারণটা ছিল রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক জাতীয় সরকারের নামে বুর্জোয়া তোষণকারী একটা ভুল রাজনীতি অনুসরণ করেছিল তারা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের কথা বললেও পরিচালিকা শক্তি শ্রমিক শ্রেণির পার্টির প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা হয়েছিল আমাদের প্রথম সফলতা আমরা একটা ভুল রাজনীতি বর্জন করে সঠিক রাজনীতি অনুশীলনের চেষ্টা করছিজাসদ ভেঙে বাসদ গঠিত হওয়ার পর বাসদেও নেতৃত্বের বিরোধ দেখা দেয়৮৩ সালের নভেম্বর দলের এক বৈঠকে খালেকুজ্জামান ভূইয়াকে পার্টির আহ্বায়কের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় মাহবুবুল হককে নতুন আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় খালেকুজ্জামান ভূইয়া আলাদা আরেকটি বাসদের নেতৃত্ব দেন ভাঙন সম্পর্কে বাসদের সাম্যবাদ গ্রন্থে বলা হয়, ‘খালেকুজ্জামান, মবিনুল হায়দার চৌধুরী বিশ্বাস করেন SUCI (Socielist unity centre of India) নেতা শিব দাস ঘোষ যুগের মার্কসবাদ-লেনিনবাদের সঠিক ধারণার বাহক বাস্তব হলো দুই বাসদের মধ্যে টিকে আছেন খালেকুজ্জামান সমর্থকরা ১৯৮০ সালের পর জাসদে শান্তি ছিল না বিভক্তির পর দলে দ্রুত প্রভাব বিস্তার করেন হাসানুল হক ইনু, কাজী আরেফ আহমেদ, শরিফ নুরুল আম্বিয়া মার্শাল মণি আর সে সময় রব, মেজর (অব.) এম জলিল, শাজাহান সিরাজদের প্রভাব কমতে থাকে আর জাসদের ওপর রহস্যপুরুষ সিরাজুল আলম খানের প্রভাব প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়ায় এক পর্যায়ে মেজর (অব.) জলিল রাজনীতি ছেড়ে আদম ব্যবসায় নামেন আদম ব্যবসায় কিছু উন্নতি করার পর যোগ দেন হাফেজ্জী হুজুরের সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে আলাদাভাবেজাতীয় মুক্তি আন্দোলননামে সাইনবোর্ড-সর্বস্ব মৌলবাদী একটি দল গঠন করেন একই সময় আবদুর রব মাগুর মাছের খামার শুরু করেন শাজাহান সিরাজ বাকি থাকবেন কেন! তিনিও ব্যবসা-বাণিজ্যের সন্ধানে নামেন এভাবে কিছু দিন কেটে যায় তারপর আবার রব শাজাহান সিরাজ রাজনীতিতে সক্রিয় হন যথারীতি রবের পেছনে এসে দাঁড়ান সিরাজুল আলম খান এক পর্যায়ে নেতৃত্ব নিয়ে রবের সঙ্গে ইনুর বিরোধ বাধে রব আলাদা অবস্থান নেন সিরাজুল আলম খান সমর্থন দেন রবকে রব৮৮ সালের একতরফা নির্বাচনে গঠিত সংসদে বিরোধী দলের নেতা হন এর আগে দলটি ভেঙে তৈরি হয় তিন জাসদ হয়- জাসদ রব, জাসদ সিরাজ, জাসদ ইনু কাহিনীর এখানেই শেষ নয়৮৬ সালের নির্বাচনে ইনুনির্বাচনে গেল যারা জাতীয় বেইমান তারাস্লোগান দিয়ে ১৫ দল থেকে বেরিয়ে আসেন শাজাহান সিরাজ যান নির্বাচনে ভাঙনে লাভবান হন হাসানুল হক ইনু কারণ কাজী আরেফ, শরীফ নুরুল আম্বিয়া, মার্শাল মণিসহ দলের মূল অংশ তার পক্ষে আসে এমনকি শিরীন আখতার, ডা. মুশতাক হোসেন, নাজমুল হক প্রধানসহ ছাত্রলীগ আরেফ ইনুর প্রতি আস্থা রেখে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখে পরে ডাকসু নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐকমত্যে সুলতান মনসুরের সঙ্গে মুশতাক জিএস হন এদিকে শাজাহান সিরাজের জাসদ৮৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রশ্নে আরেক দফা ভাঙনের শিকার হয় এবারের ভাঙনের জন্যও শাজাহান সিরাজকে দায়ী করা হয় কারণ, শাজাহান সিরাজের নেতৃত্বাধীন অংশ নির্বাচনে অংশ নেয় অন্যদিকে, মীর্জা সুলতান রাজা আলাদা জাসদ গঠন করেন তার নেতৃত্বাধীন জাসদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে এরপর আরেকবার ভাঙে জাসদের ভাঙাগড়া নিয়ে আশির দশকে অনেক লেখালেখি হয়েছিল বিশিষ্ট লেখক আহমদ ছফা সাপ্তাহিকউত্তরণ’-জাসদের রাজনীতি একটি সেন্টিমেন্টাল মূল্যায়নশীর্ষক নিবন্ধে দলীয় রাজনৈতিক ব্যর্থতা, হঠকারিতা সুবিধাবাদী নীতির জন্য মূল তিনজন নেতাকে দায়ী করেন তিনি লেখেন, বহু তরুণের সম্ভাবনাময় জীবন রক্তের বিনিময়ে এই স্বনামখ্যাতবিপ্লবীনেতারা সমাজ রাষ্ট্র থেকে একাধিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন বিপ্লব ছেড়ে কেউ কেউ সরকারের দালালিতে নিজেদের নিয়োজিত রাখছেন আহমদ ছফা জাসদ রাজনীতির সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সংযোগ সহমর্মিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, আজকাল অনেক বুদ্ধিজীবী কথায় কথায় জাসদের সমালোচনা করেন অথচ একালে তারাই স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে জাসদ কর্মীদের রাজনৈতিক তালিম দিতে এগিয়ে যেতেন আমি যখন জাসদের সমালোচনা করি তখন মনে হয় আমার নিজের বুকে ছুরি চালাচ্ছি ব্যর্থতা ভণ্ডামির জন্য তিন নেতা আবদুর রব, মেজর (অব.) জলিল সিরাজুল আলম খানকে যদি খুন করতে পারতামতাহলে নিজের অনুতাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতাম

সূত্র ঃ নঈম নিজাম, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনি 29 শে আগষ্ট 2015

Wednesday, August 12, 2015

ইরাকের কাছ থেকে আমরা যা শিখতে পারি

ইরাকের কাছ থেকে আমরা যা শিখতে পারি

হাসান ফেরদৌস | আপডেট: 
শিশুহত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে চিকিৎ​সক সমাজের প্রতিবাদগত রোববার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি হঠাৎ এক নাটকীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি রেগেমেগে তাঁর মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজানোর কথা ঘোষণা করেছেন। জানিয়েছেন, প্রত্যেক দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারী, যাঁদের মধ্যে বাঘা বাঘা মন্ত্রীরাও রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন। বিভিন্ন দলের দাবিদাওয়া পূরণ করতে তাঁর মন্ত্রিসভার কলেবর বাড়াতে হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আর নয়। এককথায় তিনি মন্ত্রিসভা থেকে তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও একজন উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ ছেঁটে ফেলেছেন এবং পার্টি ও দলভিত্তিক কোটা-ব্যবস্থা বাতিল করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দুর্নীতির বল্গা টেনে ধরতে একটি শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন গঠনের কথাও জানিয়েছেন।
তাঁর সরকার খোঁড়া, অযোগ্য ও দুর্নীতির আখড়া—এ কথা আল-আবাদি নিজেই স্বীকার করেছেন। দেশের মানুষের শুধু নিরাপত্তা নয়, তাদের বিদ্যুতের মতো মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে তাঁর সরকার ব্যর্থ হয়েছে, সে কথাও কবুল করেছেন। ইরাকের চলতি সরকারের অযোগ্যতা নিয়ে কোনো মহলেই কোনো সন্দেহ নেই, কিন্তু তাই বলে সে কথা খোদ প্রধানমন্ত্রী নিজে স্বীকার করবেন?
তাঁর এই বোধোদয় অবশ্য আপনাআপনি থেকে উদিত হয়নি। দেশের মানুষের চাপের মুখে পড়ে হয়েছে। এক মাস ধরেই ইরাকের রাজধানীতে আল-আবাদির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছিল। শুরুতে সাধারণ নাগরিক সুশীল সমাজের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। ক্রমেই বিক্ষোভে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। এক এক করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও তাতে যোগ দেওয়া শুরু করেন। গত শুক্রবার সে বিক্ষোভ এক বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। তাতে অধিকাংশই দেশের শিয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। অর্থাৎ যাদের সরকার, প্রতিবাদে যোগ দিয়েছে তারাই। বাগদাদের তাহরির স্কয়ারের সেই বিক্ষোভের মূল কথা ছিল, ইরাক থেকে আমেরিকান সামরিক অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে, ১২ বছর ধরে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায়। এই সময় নিজেদের ভেতর হালুয়া-রুটি নিয়ে ভাগাভাগি ছাড়া শিয়াপ্রধান এই সরকার আর কী করেছে?
ইরাকে সত্যি সত্যি অর্থপূর্ণ পরিবর্তন অর্জিত হবে, এ কথা এখনই বলা সম্ভব নয়। কিন্তু পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা সরকার মেনে নিয়েছে এবং সে লক্ষ্যে প্রাথমিক পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। পরিবর্তন সূচিত হওয়ার সেটি প্রথম ধাপ। ইরাকের জনগণ তাদের রাজনৈতিক ইচ্ছা নিজ সরকারের ওপর চাপাতে পেরেছে, এই সাফল্যকে গৌণ ভাবার কারণ নেই। যে চাপের ফলে এই সাফল্য, তাকে পূর্ণতা দিতে এখন যা দরকার তা হলো সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা। পেছন দরজা দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যাতে হালুয়া-রুটির রাজনীতিতে ফিরতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার দায়িত্ব অন্য কারও নয়, ইরাকি জনগণের, সে কথা দেশের মানুষ খুব ভালো করেই জানে।
বাংলাদেশ ইরাক নয়। কিন্তু দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাবের দিক দিয়ে তার সঙ্গে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা খুব ভিন্ন কিছু নয়। যেকোনো দিনের পত্রিকার পাতা খুলে দেখুন। নাগরিক অভিজ্ঞতার প্রতিটি ক্ষেত্র দুর্নীতিতে আক্রান্ত। গুম, খুন ও রাহাজানি প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা। পত্রিকার খবর থেকে এ কথা অজ্ঞাত থাকে না যে সরকারের ভেতরের কোনো কোনো মহল, এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কোনো সদস্য এর সঙ্গে জড়িত। সিলেটে রাজন হত্যার পর টাকা হাতিয়ে খুনিকে দেশ থেকে পালাতে পুলিশ সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ আছে। সামাজিক মিডিয়ার চাপ না থাকলে ও বিদেশি তথ্যমাধ্যম খোঁজখবরে আগ্রহী না হলে, অন্য অনেক ঘটনার মতো এই অপরাধও ঢাকা পড়ে যেত।
ইরাকে এর চেয়েও অধিক—দম বন্ধ হয়ে আসা অবস্থা বিরাজ করছে। তা সত্ত্বেও সে দেশে প্রতিবাদ উঠেছে। সরকারি দলের সমর্থকেরাই এই প্রতিবাদের মুখ্য অংশগ্রহণকারী। এমনকি সরকারি দলের কোনো কোনো গ্রুপ ও সদস্য সে প্রতিবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। খুব দুর্নী​িতগ্রস্ত এমন সরকারের ভেতরেও ভালো লোক থাকেন, এ কথা তার প্রমাণ
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাবনতির কথা আমাদের বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। একের পর এক ব্লগার নিহত হচ্ছেন। শুধু যে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ব্যর্থ তা-ই নয়, এই ব্যাপারে কোনো দায়দায়িত্ব নিতেও তারা অনাগ্রহী। অপরাধী চিহ্নিত হয়েছে, অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্ষমতাবানদের আগ্রাসন, তা-ও কোনো নতুন কথা নয়। এখন দেখা যাচ্ছে, খোদ সরকারের ভেতরের লোক সে কাজে হাত লাগিয়েছে।
দেশের ভেতরে সত্য জানার সুযোগ কম, সত্য বলার জায়গা কম। কথা বললে কর্তৃপক্ষ হয় ‘সব মিথ্যা’ বলে তাকে বাতিল করে দিচ্ছে, নয়তো মামলার হুমকি দিয়ে ভীতির বাতাবরণ তৈরি করছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতির মূল্যায়নে আমাদের সাহায্য নিতে হচ্ছে বিদেশি সূত্রের ওপর।
সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশের এই অবনতিশীল পরিস্থিতির ওপর এক প্রতিবেদনে একাধিক সুনির্দিষ্ট ঘটনার প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তারা জানিয়েছে, বিচারবহির্ভূত গুম-খুনের জন্য সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো কোনো সদস্য জড়িত, এমন অভিযোগ তুলেছিল একটি স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা। কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ ভিত্তিহীন তা বলেই থামেনি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা আইনের শাসন ও বিচারব্যবস্থার ওপর হুমকি বলেও সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে। অথচ এসব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা যে নানা রকম অপরাধকর্মের সঙ্গে জড়িত, সে কথা তো সরকারি তদন্তেই বেরিয়ে এসেছে। যেমন নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলা, অথবা অতিসম্প্রতি রাজনের হত্যা নিয়ে টাকা হাতিয়ে খুনিকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করা। নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়ের জীবন হুমকির মুখে, এ কথা জানা সত্ত্বেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, গণমাধ্যমেই সে খবর বেরিয়ে এসেছে। তাহলে?
এই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আরও একটি উদ্বেগজনক লক্ষণের কথা জানিয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নামে সাদাপোশাকধারী লোকজন একের পর এক গুমের ঘটনা ঘটাচ্ছেন। জিম্মিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হলেও তাদের সাবধান করে দেওয়া হচ্ছে, ভুলেও যেন পুলিশের কাছে বা সংবাদপত্রে এ নিয়ে টুঁ–শব্দটি না করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটসের এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে ধরে নিতে হয়, অনেক গুমের ঘটনাই আমাদের গোচরের বাইরে রয়ে যাচ্ছে।
অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বদলে সরকার নিত্যনতুন আইন করছে, যার লক্ষ্য সরকারি কর্মচারীদের সমালোচনা ঠেকানো। খাঁড়ার ঘা পড়তে পারে তা আঁচ পেয়ে, তথ্যমাধ্যম নিজেরাই সেন্সরশিপ আরোপ করা শুরু করেছে। সুশীল সমাজভুক্ত সংস্থাগুলো প্রতিবাদ করবে, তার সুযোগও সীমিত হয়ে আসছে। সুশীল সমাজের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নতুন যে অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি হয়েছে,
তাতে সরকারের নির্ধারিত নীতিমালা অনুসরণ না করলে যেকোনো বেসরকারি সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিষদ ভেঙে সরকার নিজের পছন্দমতো প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। অন্য কথায়, নীতিমালা বানাবে সরকার; তা মানা হলো কি হলো না, তা নির্ণয়ের দায়িত্বও সরকারের। সরকারের জন্য এই বন্দোবস্ত খুব সুবিধাজনক হলেও বেসরকারি সংস্থাগুলোর জন্য তা যে খুব স্বাস্থ্যকর নয়, তা বুঝতে কাউকে পিএইচডি ডিগ্রি নিতে হয় না।
শুরুতে আমি ইরাকের উদাহরণ দিয়েছিলাম, কারণ ইরাকে এর চেয়েও অধিক—দম বন্ধ হয়ে আসা অবস্থা বিরাজ করছে। তা সত্ত্বেও সে দেশে প্রতিবাদ উঠেছে। সরকারি দলের সমর্থকেরাই এই প্রতিবাদের মুখ্য অংশগ্রহণকারী। এমনকি সরকারি দলের কোনো কোনো গ্রুপ ও সদস্য সে প্রতিবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। খুব দুর্নীতিগ্রস্ত এমন সরকারের ভেতরেও ভালো লোক থাকেন, এ কথা তার প্রমাণ। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে আসছে। অবস্থা সামাল দিতে ব্যর্থ হলে যে ভিন্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারাই, যারা এখন সবচেয়ে বেশি ফায়দা ভোগ করছে।
ইরাকের মানুষ জেগে উঠতে পারে, আমরা কেন পারব না?
হাসান ফেরেদৗস: যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি।

জেএসসি-জেডিসি এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার সময়সূচি

জেএসসি-জেডিসি এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা -

অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাদরাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ বুধবার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার সময়সূচি চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ পরীক্ষা আগামী ১ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ১৮ নভেম্বর। প্রতিদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে।

অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হবে ২২ নভেম্বর। শেষ হবে ২৯ নভেম্বর। এখানে আড়াই ঘণ্টার পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১ টায়।
জেএসসি সময়সূচি 
১ নভেম্বর বাংলা ১ম পত্র, ২ নভেম্বর বাংলা ২য় পত্র, ৩ নভেম্বর ইংরেজি ১ম পত্র, ৪ নভেম্বর ইংরেজি ২য় পত্র, ৫ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ৮ নভেম্বর গণিত/সাধারণ গণিত, ৯ নভেম্বর ধর্ম বিষয়ক পরীক্ষা, ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ১২ নভেম্বর শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, ১৫ নভেম্বর বিজ্ঞান, ১৬ কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, ১৭ নভেম্বর কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, ১৮ নভেম্বর চারু ও কারুকলা।
জেডিসি সময়সূচি
১ নভেম্বর কুরআন মাজীদ ও তাজবিদ, ২ নভেম্বর আকাইদ ও ফিকাহ, ৩ নভেম্বর বাংলা ১ম পত্র, ৪ নভেম্বর বাংলা ২য় পত্র, ৫ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ৮ নভেম্বর ইংরেজি ১ম পত্র, ৯ নভেম্বর ইংরেজি ২য় পত্র, ১১ নভেম্বর আরবি ১ম পত্র, ১২ নভেম্বর আরবি ২য় পত্র, ১৪ নভেম্বর গণিত, ১৫ নভেম্বর কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, ১৬ নভেম্বর সামাজিক বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ১৭ নভেম্বর সাধারন বিজ্ঞান (শুধু অনিয়মিত)/বিজ্ঞান, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (শুধু অনিয়মিত), ১৮ নভেম্বর কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য অর্থনীতি (শুধু অনিয়মিত), গার্হাস্থ্য বিজ্ঞান।
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা আগামী ২২ নভেম্বর শুরু হয়ে ২৯ নভেম্বর শেষ হবে। এই দুটি সমাপনী পরীক্ষার বিষয়ে জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
প্রাথমিক সমাপনী 
২২ নভেম্বর ইংরেজি, ২৩ নভেম্বর বাংলা, ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২৫ নভেম্বর প্রাথমিক বিজ্ঞান, ২৬ নভেম্বর ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা ও ২৯ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ইবতেদায়ি সমাপনী 
২২ নভেম্বর ইংরেজি, ২৩ নভেম্বর বাংলা, ২৪ নভেম্বর পরিবেশ পরিচিতি সমাজ ও পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞান, ২৫ নভেম্বর আরবি, ২৬ নভেম্বর কুরআন ও তাজবীদ এবং আকাঈদ ও ফিকাহ, ২৯ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


Sunday, August 2, 2015

বৃদ্ধাশ্রম যেন না হয় বাবা-মার শেষ আশ্রয়

বৃদ্ধাশ্রম যেন না হয় বাবা-মার শেষ আশ্রয়


আজ যারা বৃদ্ধ তারা নিজেদের জীবনের সবটুকু সময়, ধনসম্পদ বিনিয়োগ করেছিলেন সন্তানের জন্য, নিজের জন্য রাখেননি কিছুই। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের কাছ থেকে এর একটি ক্ষুদ্র অংশও তারা পাচ্ছেন না। কখনো দেখা যায়, সন্তান তার নিজের পরিবারের খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে, তাই বাবা-মাকে মনে করছে বোঝা। নিজে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে একটু ভালো থাকার জন্য বাবা-মার ঠাঁই করে দিয়েছেন বৃদ্ধাশ্রমে। আবার এমনো দেখা যায়, সন্তানের টাকা-পয়সার অভাব নেই, কিন্তু বাবা-মাকে নিজের কাছে রাখার প্রয়োজন বোধ করছে না, বা বোঝা মনে করছে। হয় নিজেই পাঠিয়ে দিচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে, নয়তো অবহেলা ও দুর্ব্যবহার করে এমন অবস্থার সৃষ্টি করছে- যেন তাদের বাবা-মা নিজেরাই সরে যান তার সাধের পরিবার থেকে।

আমার জানা মতে, পৃথিবীর প্রথম বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রাচীন চীনে। ঘরছাড়া অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রের এই উদ্যোগ ছিল শান রাজবংশের। খ্রিষ্টপূর্ব ২২০০ শতকে পরিবার থেকে বিতাড়িত বৃদ্ধদের জন্য আলাদা এই আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করে ইতিহাসে আলাদা জায়গাই দখল করে নিয়েছে এই শান রাজবংশ। পৃথিবীর প্রথম প্রতিষ্ঠিত সেই বৃদ্ধাশ্রমে ছিল বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের আরাম-আয়েশের সব রকম ব্যবস্থাই। ছিল খাদ্য ও বিনোদনব্যবস্থা।
কিন্তু এখন বিষয়টি এমন হয়েছে যে, একবার বাবা-মাকে বৃদ্ধনিবাসে পাঠাতে পারলেই যেন সব দায়মুক্তি। এভাবে নানা অজুহাতে বাবা-মাকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। অনেক নামী-দামি বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক, চাকরিজীবী যারা একসময় খুব বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ছিলেন, বৃদ্ধ বয়সে এসে নিজের সন্তানের দ্বারাই অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হয়ে বৃদ্ধাশ্রমের স্থায়ী বাসিন্দা হতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক সন্তান বা আত্মীয়স্বজন আর তাদের কোনো খবরও নেন না। তাদের দেখতে আসেন না, এমনকি প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা বা জিনিসপত্রও পাঠান না। বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠানে বা ঈদের আনন্দের সময়ও বাবা-মাকে বাড়িতে নেন না। এমনো শোনা যায়, অনেকে বাবা-মার মৃত্যুশয্যায় বা মারা যাওয়ার পরও শেষবার দেখতে যান না।

বৃদ্ধাশ্রম অবহেলিত বৃদ্ধদের জন্য শেষ আশ্রয়। তাদের সারা জীবনের অবদানের যথার্থ স্বীকৃতি, শেষ সময়ের সম্মান ও নিরাপত্তা দেয়া হয় এসব বৃদ্ধাশ্রমে। এখানে তারা নির্ভাবনায়, সম্মানের সাথে, আনন্দের সাথে বাকি দিনগুলো কাটাতে পারেন। প্রয়োজনে অনেক বৃদ্ধাশ্রমে চিকিৎসারও সুন্দর ব্যবস্থা করা আছে। কিন্তু সব প্রাপ্তির মাঝেও এখানে যা পাওয়া যায় না, তা হলো নিজের পরিবারের সান্নিধ্য। বৃদ্ধ বয়সে মানুষ তার সন্তান, নাতি-নাতনীদের সাথে একত্রে থাকতে চান। তাদের সাথে জীবনের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চান। সারা জীবনের কর্মব্যস্ত সময়ের পর অবসরে তাদের একমাত্র অবলম্বন এই আনন্দটুকুই। বলা যায় এর জন্যই মানুষ সমগ্র জীবন অপো করে থাকে। বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় পাওয়া যায়, সঙ্গীসাথী পাওয়া যায়, বিনোদন পাওয়া যায়; কিন্তু শেষ জীবনের এই পরম আরাধ্য আনন্দটুকু পাওয়া যায় না- যার জন্য তারা এই সময়টাতে ভীষণ মানসিক যন্ত্রণা আর ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন।

যে বাবা-মা একসময় নিজে না খেয়েও সন্তানকে মুখে তুলে খাইয়ে দিতেন, তারা আজ কোথায় কেমন আছেন, সেই খবর নেয়ার সময় যার নেই তার নিজের সন্তানও হয়তো একদিন তার সাথে এমন আচরণই করবে। বিভিন্ন উৎসবে, যেমন ঈদের দিনেও যখন তারা তাদের সন্তানদের কাছে পান না, সন্তানের কাছ থেকে একটি ফোনও পান না, তখন অনেকেই নীরবে অশ্রুপাত করেন আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন।
আমাদের মনে রাখা উচিত- আজ যিনি সন্তান, তিনিই আগামী দিনের বাবা কিংবা মা। বৃদ্ধ বয়সে এসে মা-বাবারা যেহেতু শিশুদের মতো কোমলমতি হয়ে যান, তাই তাদের জন্য সুন্দর জীবনযাত্রার পরিবেশ তৈরি করাই সন্তানের কর্তব্য। আর যেন কখনো কোনো বাবা-মার ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম না হয়, সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। তাদের জন্য তৈরি করতে হবে একটা নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী।
সংগৃহীত : হেলেনা জাহাঙ্গীল, দৈনিক নয়াদিগন্ত।

ব্রণমুক্ত সুন্দর ত্বক

ব্রণমুক্ত সুন্দর ত্বক

একটা নির্দিষ্ট বয়সে ছেলে-মেয়েদের মুখে Acnes বা ব্রণের প্রবনতা দেখা যায়। মনে রাখতে হবে ব্রণ হলে কখনোই নখ দিয়ে খোঁটা যাবে না। বাইরে থেকে ফিরে ওয়েল ফ্রি ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিস্কার করতে হবে।


ব্রণমুক্ত সুন্দর ত্বক সাধারণ এই সচেতনতার পাশাপাশি আপনি ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদান। ব্রণমুক্তির জন্য প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার ব্রণ থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে। প্রাকৃতিক উপাদানগুলো কি কি এবং কিভাবে লাগাতে হয় জেনে নিন।

মধু: 

মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান, যা ভেতর থেকে এই সমস্যার সমাধান করে। মধু হাতের তালুতে নিয়ে মুখে প্রতিদিন ম্যাসেজ করলে এবং প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ মধু খেলে খুব দ্রুত ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছাড়া মধুর সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ব্রণের দাগ ত্বক থেকে দূর করতে বিশেষ কার্যকর।

পুদিনা পাতা: 

কয়েকটি পুদিনা পাতা পিষে নিয়ে রস বের করে নিন। একটি পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে রসটুকু আলাদা করুন। এই রস প্রতিদিন ত্বকে লাগিয়ে রাখবেন ৩০ মিনিট। এতে দ্রুত ব্রণের দাগ মিলিয়ে যাবে। আলু: কাঁচা আলু ত্বকের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী। আলু ধুয়ে মুছে নিয়ে পাতলা করে স্লাইস করে ত্বকে ভালো করে ঘষে নিন। এতে করে ত্বকের দাগ হালকা হয়ে আসবে। এবং ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে।

বরফ: 

মুখে বরফ ঘষুন ১০ মিনিটের মত। এতে ব্রণ কম বের হবে এবং ইতিমধ্যে যদি ব্রণ বেরিয়েও থাকে, তাহলে কমে যাবে ।

গোলাপজল ও চন্দনগুঁড়ো:

 ১ টেবিল চামচ চন্দনগুঁড়ায় সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এটি ব্রণের দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে ব্রণের দাগ দূর হবে দ্রুত।

লেবুর রস: 

লেবুর রসের অ্যাসিটিক এসিড ত্বকের ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম। লেবুর রস ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে ব্রণের উপদ্রব থেকে বাঁচায়। প্রতিদিন লেবুর রসের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে তুলোর বল ভিজিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে রেহাই পাবেন।

অলিভ অয়েল: ব্রণের দাগ দূর করতে অলিভ অয়েল জাদুর মতো কাজ করে। প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে শুকিয়ে নিন। এরপর হাতে সামান্য অলিভ অয়েল নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিট। এপর ৩০ মিনিট পর আবার কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে দ্রুত ফল পাবেন।

টুথপেস্ট ব্যবহার: 

ব্রণের উপর সামান্য করে টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন সারারাত । সকালে ধুয়ে ফেলুন । ব্রন শুকিয়ে যাবে।

রসুন ব্যবহার: ব্রণের উপরে এবং চারপাশে কাঁচা রসুন ঘষে দিন। এতে খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে এবং দাগও অনেক কমে যাবে ।

কমলার খোসা ব্যবহার: কমলার খোসা বেটে পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখুন। ব্রণ কমে যাবে ।

ভিনেগার ব্যবহার: সামান্য পানি এবং ভিনেগার প্রথমে গরম করুন একসঙ্গে। তারপর ঠাণ্ডা করে এই মিশ্রন মুখে ব্যবহার করুন । ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন ।

শশা ব্যবহার: 

শশা থেতো করে সামান্য লেবুর রস একসঙ্গে করে মিশিয়ে নিন এবং মুখে লাগান। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন । ব্রণ হবে না। ব্রণ থাকলেও অনেক কমে যাবে

মুখের পরিচ্ছন্নতা: 

ভাল ফেসওয়াশ দিয়ে দিনে অন্তত ২ বার মুখ ভাল করে পরিস্কার করুন । মুখে কখনই সাবান ব্যবহার করবেন না। প্রতিবার বাইরে থেকে এসে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন।
সংগৃহীত