Friday, September 13, 2013

লতিফ সিদ্দিকীর দখল করা সাবেক প্রেসিডেন্টের বাড়ি উদ্ধার হয়েছিল যেভাবে

লতিফ সিদ্দিকীর দখল করা সাবেক প্রেসিডেন্টের বাড়ি উদ্ধার হয়েছিল যেভাবে
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩
স্টাফ রিপোর্টার: আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী। সমপ্রতি নানা বিষয়ে আলোচিত তিনি। মার্কিন  রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়ে কৈফিয়ত চেয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন কিছুদিন আগে। সমপ্রতি এক অনুষ্ঠানে হরতালকারীদের ঘরে ঢুকে হত্যা করারও নির্দেশ দিয়েছেন এ নেতা। বক্তৃতা বিবৃতিতে নিজেকে আওয়ামী লীগের খাঁটি কর্মী প্রমাণ করতে চান তিনি। সমালোচনা করেন দলের প্রবীণ নেতাদেরও। আলোচিত এ নেতার রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেও ছিলেন আলোচনায়। বঙ্গবন্ধু তখন প্রধানমন্ত্রী। আর লতিফ সিদ্দিকী সংসদ সদস্য। সেই সময়ে নিজের লোকজন দিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর বাড়ি দখল করে নিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য ওই বাড়ি উদ্ধার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। রক্ষিবাহিনী অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে লতিফ সিদ্দিকীর লোকজনকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল ময়মনসিংহে। ওই বাড়ি উদ্ধারের ঘটনার বর্ণনা পাওয়া গেছে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আনোয়ার উল আলমের বর্ণনায়। তিনি ওই সময় লেফটেনেন্ট কর্নেল মর্যাদায় রক্ষী বাহিনীর উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) ছিলেন।
‘রক্ষী বাহিনীর সত্য-মিথ্যা’ বইয়ে এ ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। বইটির ‘বিরাগভাজন হওয়ার কয়েকটি ঘটনা’ উপ শিরোনামে আনোয়ার উল আলম ওই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে-
কোন বাহিনীর হয়ে দেশে আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে ওই বাহিনীর কর্মকর্তাদের অনেক সময় সরকারি দলের নেতা, কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের বিরাগভাজন হতে হয়। এ বিষয়ে অবশ্যই পুলিশ বাহিনীর অভিজ্ঞতা অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের চেয়ে বেশি। জাতীয় রক্ষীবাহিনীর একজন উপ-পরিচালক হিসেবে আমি নিজেও কয়েকজন জনপ্রতিনিধির বিরাগভাজন হয়েছিলাম।
ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসার পর কাজে যোগ দিয়ে আমি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে থাকি। কিছুদিন পর, একদিন সন্ধ্যায় আমি অফিসে কাজ করছি। আমাদের বাহিনীর পরিচালক এএনএম নূরুজ্জামান আমাকে ডেকে পাঠান। তার কাছে যাওয়ার পর তিনি আমাকে দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে বললেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে শেরেবাংলা নগরের নতুন গণভবনে যাই। গণভবন ও আমাদের সদর দপ্তরের মধ্যে তেমন দূরত্ব ছিল না। কয়েক মিনিটের মধ্যে আমি গণভবনে পৌঁছাই। প্রধানমন্ত্রীর সচিবের কাছে যাওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধুকে আমার উপস্থিতির কথা জানান। বঙ্গবন্ধু সচিবের মাধ্যমে আমাকে তার কক্ষে যেতে বলেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর অফিসকক্ষে প্রবেশ করে দেখতে পাই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী সোফায় বসে আছেন।
বঙ্গবন্ধুর চেহারা দেখে আমার মনে হলো, তিনি খুব রাগান্বিত। এতে আমি একটু আশ্চর্য হয়ে গেলাম। ভাবলাম, আমি কি কোন ভুল করে ফেলেছি? আমি বঙ্গবন্ধুর সামনে যেতেই তিনি আমাকে বললেন শোন, চৌধুরী সাহেবের পৈতৃক বাড়ি লতিফ দখল করেছে। ওই বাড়ি আজ রাতের মধ্যেই খালি করতে হবে।
সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাপারটা বুঝে গেলাম। এ লতিফ টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। একই থানার নাগবাড়ি গ্রামে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর বিশাল পৈতৃক বাড়ি। লতিফ সিদ্দিকী ওই বাড়ি দখল করেছেন। আমি কোন কিছু না ভেবেই সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে বললাম, খালি হয়ে যাবে, স্যার। এরপর বঙ্গবন্ধু আমাকে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছ থেকে সব জেনে কাজ করতে বললেন। নির্দেশ দিলেন বাড়ি খালি করে পরদিন সকালে যেন তাকে রিপোর্ট করি। তারপর আমাকে সাবেক রাষ্ট্রপতির কাছে রেখে বঙ্গবন্ধু পাশের ঘরে গেলেন।
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এমনিতেই খুব ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং গম্ভীর মানুষ ছিলেন। তিনি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক। এ সুবাদে তিনি আমাকে ভাল করেই চিনতেন। তখন থেকেই আমাকে খুব স্নেহ করতেন। এ ছাড়া স্বাধীনতার পর ১০ই জানুয়ারি (১৯৭২) দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু যখন তাকে রাষ্ট্রপতি করবেন বলে মনঃস্থ করেন, তখন আমাকেই তার কাছে পাঠিয়েছিলেন।
একান্ত ব্যক্তিগত এবং প্রাসঙ্গিক না হলেও উল্লেখযোগ্য বলে ঘটনাটির অবতারণা করছি। ১১ই জানুয়ারি ১৯৭২ রাতে আমরা কয়েকজন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাই। তখন রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টা। ভেতরে প্রবেশ করেই জানতে পারলাম, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ প্রমুখ ঊর্ধ্বতন নেতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু দোতলায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করছেন। আমরা নিচতলায় বসতে যাচ্ছি, এমন সময় দেখি, বঙ্গবন্ধু ও অন্য নেতারা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছেন। আমরা উঠে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুসহ তাদের সবাইকে সালাম দিলাম। বঙ্গবন্ধু নেতাদের বিদায় দিয়ে আমাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন। আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর পা ছুঁয়ে সালাম করলাম। মনে হলো, আমাদের পেয়ে তিনি খুব খুশি হয়েছেন। আমাদের কাছে নানা বিষয়ে জানতে চাইলেন। তবে কিছুক্ষণ কথা বলার পর মনে হলো, তিনি বেশ ক্লান্ত। তাই বেশিক্ষণ কথা না বলে আমি তাকে বললাম, আপনাকে শুধু দেখতে এসেছি। এ কথা বলে সবাই বিদায় নিচ্ছি, বঙ্গবন্ধু আমাকে কাছে টেনে নিয়ে কানে কানে বললেন, তোর ভিসিকে তাড়াতাড়ি এখানে নিয়ে আয়।
উল্লেখ্য, আবু সাঈদ চৌধুরী ৭ই জানুয়ারি লন্ডন থেকে ঢাকায় ফেরেন। সেদিন আমি তার বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি আমার কাছে টাঙ্গাইলের খবর জানতে চান। আমি সংক্ষেপে কিছু ঘটনা জানাই।
১১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ভবন থেকে বেরিয়ে আমার সহযোদ্ধা নূরুন্নবী ছাড়া সবাই টাঙ্গাইলে রওনা হলেন। আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে রাতেই বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর বাসায় হাজির হলাম। সঙ্গে নূরুন্নবী। তার বাসায় গিয়ে জানতে পারি, তিনি শহীদ মুনীর চৌধুরীর স্ত্রী ও সন্তানদের সমবেদনা জানাতে তার বাসায় গেছেন। কখন ফিরবেন, ঠিক নেই। এ অবস্থায় আমি শহীদ মুনীর চৌধুরীর বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তার বাসা ছিল ভূতের গলিতে। এটা অবশ্য আমি জানতাম না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আমার এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে আমি ওই বাসায় যাই। সেখানে আমি আবু সাঈদ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করি। বিনীতিভাবে তাকে জানাই, বঙ্গবন্ধু আমাকে পাঠিয়েছেন। আমরা আপনার বাসায় গিয়েছিলাম। না পেয়ে এখানে এসেছি। তিনি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চান। আপনাকে তার কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা এসেছি। এরপর তিনি মুনীর চৌধুরীর স্ত্রীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু ভবনে রওনা হন।
আমরা যখন সেখানে পৌঁছাই, তখন রাত প্রায় ১১টা। বঙ্গবন্ধু সবে রাতের খাবার সেরে উঠেছেন। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের পর বঙ্গবন্ধু তাকে সঙ্গে নিয়ে তার শয়নকক্ষে যান। নূরুন্নবী আর আমি নিচে অপেক্ষা করতে থাকি। একটু পর বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী নিচে নেমে এসেই আমাকে জড়িয়ে ধরেন। আমি তখন কারণ বুঝতে পারিনি। পরদিন রেডিওতে খবর শুনে কারণটা বুঝতে পারি। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হয়েছেন।
যা হোক, বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তার বাড়ি দখলের বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে একটু বিব্রত বোধ করছিলেন। তা করারই কথা। কারণ, কোন দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতির বাড়ি বেদখল হওয়ার ঘটনা একটা অচিন্তনীয় বিষয়। আমি নিজেও বেশ লজ্জা বোধ করছিলাম। আমি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছ থেকে সব শুনে তাকে আশ্বাস দিলাম যে রাতের মধ্যেই তার বাড়ি খালি হয়ে যাবে। এরপর আমি অফিসে ফিরে আসি। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তার বাসভবনে ফিরে যান। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আবু সাঈদ চৌধুরীর পৈতৃক বাড়িটি পুড়িয়ে দিয়েছিল। তার পারিবারিক বিষয় সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য সামসুদ্দিন (মুচু মিয়া) নামের একজন ম্যানেজার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাকে পাকিস্তানি সেনারা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, সাবেক রাষ্ট্রপতির পৈতৃক বাড়ি দখলদার সংসদ সদস্যের কাছ থেকে উদ্ধার করতে হবে। তাই আমি কৌশল ঠিক করলাম, উদ্ধার অভিযানটা পরিচালনা করতে হবে সঙ্গোপনে। টাঙ্গাইল জেলায় কোন দিন কোন অভিযানে রক্ষীবাহিনী পাঠানো হয়নি। আশাপাশে রক্ষীবাহিনীর কোন ক্যাম্প ছিল না। কাছাকাছি ময়মনসিংহে রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্প ছিল। সেখানে বাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন লিডার সরোয়ার হোসেন। তার বাড়ি ছিল কালিহাতী থানার পাশেই বাসাইল থানায়। মুক্তিযুদ্ধকালে সরোয়ার কালিহাতী এলাকায় যুদ্ধ করেন। ফোন করে তাকে নির্দেশ দিলাম দুই ট্রাক রক্ষী সদস্য প্রস্তুত করে রাত একটার মধ্যে নাগবাড়ী পৌঁছাতে এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর বাড়ি ঘেরাও করে ভেতরে যাকেই পাওয়া যাবে তাদের সবাইকে ট্রাকে উঠিয়ে সরাসরি ময়মনসিংহে নিয়ে যেতে। আরও নির্দেশ দিলাম গভীর রাতে অপারেশন করার জন্য। গ্রামের লোকজন যাতে এ অপারেশনের বিষয়ে জানতে না পারে, তার জন্য নীরবে কাজ করতে হবে। কোন গুলি করা যাবে না। তারপর ময়মনসিংহে ফিরে সকালেই আমাকে জানাতে হবে।
যে রকম নির্দেশ, সে রকম কাজ। সকাল ছয়টার দিকে ময়মনসিংহে ফিরে লিডার সরোয়ার হোসেন আমাকে ফোন করে জানালেন, অপারেশন সফল। তারা নাগবাড়ীতে গিয়ে দেখেন গ্রামটি নীরব, নিস্তব্ধ। লোকজন সবাই ঘুমে, এমনকি সাবেক রাষ্ট্রপতির বাড়ি যারা দখল করে আছে, তারাও ঘুমে। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে তাদের সবাইকে (যত দূর মনে পড়ে ১৫-১৬ জন) ধরে কোন হট্টগোল ছাড়াই রক্ষী সদস্যরা ফিরে আসেন। আমি সরোয়ারকে দুপুরের আগেই একটা রিপোর্ট লিখে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার জন্য বলি।
এরপর অফিসে গিয়েই আমি সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে ফোন করে জানাই, তার বাড়ি খালি হয়ে গেছে। সেখানে তার লোকজন যেতে পারে। তারপর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে রিপোর্ট করতে গণভবনে যাই। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি দখলমুক্ত হয়েছে জেনে তিনি খুব খুশি হন এবং নিজেই তাকে ফোন করেন।
এদিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সকালেই খবর পেয়ে যান বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি থেকে তার লোকজনকে কে বা কারা রাতের অন্ধকারে ধরে নিয়ে গেছে। এ খবর পেয়ে লতিফ সিদ্দিকী এদিক সেদিক খোঁজ নিতে থাকেন, কিন্তু কোন খবর পান না। কারণ, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) বা কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেউই বিষয়টি জানতেন না। দু’তিন দিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ না পেয়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলীর সঙ্গে দেখা করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে জানান, তিনিও এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে তার কাছ থেকেই হয়তো লতিফ সিদ্দিকী খবর পান, বিষয়টা আমি জানি।
দু’তিন দিন পর একদিন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী আমার বাসায় আসেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। আমি তাকে বলি যে ব্যাপারটা ঘটেছে অনেক উঁচুপর্যায়ের সিদ্ধান্তে। এর বেশি আমি জানি না। এটা জানতে হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে হবে। আমার কাছে সদুত্তর না পেয়ে লতিফ সিদ্দিকী অত্যন্ত রাগান্বিত হন। তারপর চলে যান আমার বাসা থেকে। আর কোন দিন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সম্পত্তির ধারে কাছে যাননি তিনি। 

0 comments:

Post a Comment