সত্য জানি, সত্য মানি এবং সত্যের সাথে থাকি। সকল খবর হোক সত্য ও নিরপেক্ষ।

সত্যকে অস্বীকার কারনে, গত চার দশকে জাতি হিসাবে আমরা মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারিনি । স্বাধীনতার প্রায় অধ শতাব্দীতে জাতি তার কাঙ্তিত সাফল্য পায়নি।

মোর নাম এই বলে ক্ষ্যাত হোক – আমি তোমাদেরই লোক

যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ জাতি সমৃদ্ধিলাভ করেছে - আমরা তাদের ভুলব না । তোমরা অমর হয়ে থাকবে জাতীর ভাগ্যাকাশে। আমাদের ভালবাসা ও দোয়া রইল।

IT BD SOFT. একটি বিশ্বস্থ আইটি ট্রেনিং সেন্টার

------Pls visit http://itbdsoft.tk ------- কম্পিউটার শিক্ষা প্রসার ও বিকাশে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষা হোক সবার জন্য উম্মুক্ত ও সহজলভ্য।

পযটন হোক – জাতীয় উন্নতির একমাত্র হাতিয়ার।

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া। কক্সবাজার, সুন্দরবন, কুয়াকাটা, নীলগিরি সহ হাজারো দৃষ্টি নন্দন অপার সৌন্দার্য ছড়িয়ে আছে এ জমিনে – জানি ও সমৃদ্ধ করি দেশমাতৃকাকে।

IT BD SOFT. একটি বিশ্বস্থ আইটি ট্রেনিং সেন্টার

------Pls visit http://itbdsoft.tk ------- কম্পিউটার শিক্ষা প্রসার ও বিকাশে / এছাড়াও আমরা ডোমিন- হোষ্টিং বিক্রি /আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়ানো / সাইটিকে কে গুগল টপে আনতে আমাদের সাহায্য নিন।

Sunday, August 2, 2015

হৃদরোগ সর্ম্পকে ড. দেবি শেঠির উপদেশ

তৈলাক্ত খাবার হৃদরোগের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ : দেবি শেঠি !! 

দেবি শেঠি ভারতের বিখ্যাত চিকিৎসক। বলা হয়, বিশ্বের সেরা ১০ জন সার্জনের একজন তিনি।
বাংলাদেশেও তিনি বেশ পরিচিত। ভারতের কর্নাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালোর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার 
দূরে শেঠির নারায়ণা হৃদয়ালয় হাসপাতালটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান হাসপাতাল।

প্রশ্ন: হৃদরোগ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নয় এমন মানুষেরা কিভাবে হৃদযন্ত্রের যত্ন নিতে পারে?
দেবি শেঠি: . খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শর্করা এবং চর্বিজাত খাবার কম খেতে হবে। আর আমিষের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
. সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন আধা ঘণ্টা করে হাঁটতে হবে। লিফটে চড়া এড়াতে হবে। একটানা বেশি সময় বসে থাকা যাবে না।
. ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
. রক্তচাপ এবং সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

প্রশ্ন: শাক জাতীয় নয়, এমন খাবার (যেমন মাছ) খাওয়া কি হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী?
দেবি শেঠি: না।


প্রশ্ন: মাঝে মাঝে শোনা যায় সুস্থ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখেন?
দেবি শেঠি: এটাকে বলে নীরব আক্রমণ। এজন্যই ত্রিশোর্ধ্ব সকলের উচিত নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।


প্রশ্ন: মানুষ কি উত্তরাধিকারসূত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে?
দেবি শেঠি: হ্যাঁ।


প্রশ্ন: হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে কেন? এর থেকে উত্তরণের উপায় কি?
দেবি শেঠি: জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। জীবনে সব কিছু নিখুঁত হবে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।


প্রশ্ন: জগিং করার চেয়ে কি হাঁটা ভারেঅ? নাকি হৃদযন্ত্রের যত্ন নেয়ার জন্য আরো কঠিন ব্যায়াম জরুরি?
দেবি শেঠি: হ্যাঁ, জগিং করার চেয়ে হাঁটা ভালো। জগিং করলে মানুষ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায় এবং জয়েন্টে ব্যথা হয়।
প্রশ্ন: দরিদ্র এবং অভাবগ্রস্তদের জন্য আপনি অনেক কিছু করেছেন। এসবের পেছনে অনুপ্রেরণা কি ছিল?
দেবি শেঠি: মাদার তেরেসা। তিনি আমার রোগী ছিলেন।
প্রশ্ন: নিম্ন রক্তচাপে যারা ভোগেন, তারা কি হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে?
দেবি শেঠি: সেটা হবে খুবই বিরল।
প্রশ্ন: কোলেস্টেরলের মাত্রা কি অল্প বয়স থেকেই বাড়তে থাকে? নাকি ত্রিশের পর বিষয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত?
দেবি শেঠি: না, কোলেস্টেরলের মাত্রা ছোটবেলা থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।


প্রশ্ন: অনিয়মিত খাদ্যাভাস কিভাবে হৃদযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে?
দেবি শেঠি: অনিয়মিত খাদ্যাভাস মানুষকে জাঙ্ক ফুডের দিকে ঠেলে দেয়। আর তখনই হজমের জন্য ব্যবহৃত এনজাইমগুলো দ্বিধায় পড়ে যায়।


প্রশ্ন: ওষুধ ছাড়া কিভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা যায়?
দেবি শেঠি: নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, হাঁটাহাঁটি এবং আখরোট খাওয়ার মাধ্যমে।


প্রশ্ন: হৃদযন্ত্রের জন্য সবচেয়ে ভালো এবং সবচেয়ে খারাপ খাবার কোনটি?
দেবি শেঠি: ফল এবং সবজি সবচেয়ে ভাল খাবার। আর সবচেয়ে খারাপ তৈলাক্ত খাবার।


প্রশ্ন: কোন তেল ভালো? সূর্যমুখী নাকি জলপাই?
দেবি শেঠি: যেকোনো তেলই খারাপ।


প্রশ্ন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কি নির্দিষ্ট কোনো পরীক্ষা আছে?
দেবি শেঠি: নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সুগার এবং কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। তাছাড়া রক্তচাপ পরিমাপও জরুরি।


প্রশ্ন: হার্ট অ্যাটাক হলে প্রাথমিকভাবে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে?
দেবি শেঠি: রোগীকে প্রথমে শুইয়ে দিতে হবে। এরপর জিহ্বার নিচে একটি এ্যাসপিরিন ট্যাবলেট রাখতে হবে। যদি পাওয়া যায় তবে এ্যাসপিরিনের পাশাপাশি একটি সরবিট্রেট ট্যাবলেটও রাখতে হবে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নেবার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়।


প্রশ্ন: হৃদরোগজনিত ব্যথা এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার মধ্যে পার্থক্য করা যায় কিভাবে?
দেবি শেঠি: ইসিজি ছাড়া এটা সত্যিই খুব কঠিন।


প্রশ্ন: যুবকদের মধ্যে হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যার আধিক্যের কারণ কি?
দেবি শেঠি: একটানা দীর্ঘ সময় বসে থাকা, ধূমপান এবং জাঙ্ক ফুড। তাছাড়া ব্যায়াম না করাও একটি প্রধান কারণ। কিছু কিছু দেশের মানুষের জেনেটিক কারণেই ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকানদের চেয়ে তিন গুণ বেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


প্রশ্ন: রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা (১২০/৮০) না থাকলেও কি কেউ পুরোপুরি সুস্থ থাকতে পারে?
দেবি শেঠি: হ্যাঁ।


প্রশ্ন: নিকট আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে করলে সন্তানের হৃদরোগ হতে পারে- এটা কি সত্য?
দেবি শেঠি: হ্যাঁ। নিকট আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে জন্মগত অস্বাভাবিকতার দিকে ঠেলে দেয়।


প্রশ্ন: বেশিরভাগ মানুষ অনিয়ন্ত্রিত রুটিন অনুসরণ করে। মাঝে মাঝে মানুষকে অনেক রাত পর্যন্ত অফিসে থাকতে হয়। এতে কি হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হয়? যদি হয় তবে এক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে?
দেবি শেঠি: তরুণ বয়সে প্রকৃতি মানুষকে ধরনের অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে।


প্রশ্ন: অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ ওষুধ গ্রহণ করলে অন্য কোন জটিলতা তৈরি হয়?
দেবি শেঠি: হ্যাঁ, বেশিরভাগ ওষুধেরই কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। কিন্তু আধুনিক অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ ওষুধগুলো অনেক নিরাপদ।


প্রশ্ন: অতিরিক্ত চা বা কফি খেলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে?
দেবি শেঠি: না।


প্রশ্ন: অ্যাজমা রোগীদের কি হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি?
দেবি শেঠি: না।
প্রশ্ন: জাঙ্ক ফুডকে কিভাবে সংজ্ঞায়িত করবেন?
দেবি শেঠি: যেকোনো ধরনের ফ্রাইড ফুড যেমন কেন্টাকি, ম্যাকডোনাল্ডস, সমুচা। এমনকি মাসালা দোসাও জাঙ্ক ফুড।


প্রশ্ন: আপনার মতে ভারতীয়দের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা তিন গুণ বেশি। এর কারণ কি?
দেবি শেঠি: পৃথিবীর প্রতিটি জাতিরই কিছু নির্দিষ্ট রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দুঃখজনক হলেও সত্য, জাতি হিসেবে ভারতীয়দের সবচেয়ে ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি।


প্রশ্ন: কলা খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে?
দেবি শেঠি: না।


প্রশ্ন: হার্ট অ্যাটাক হলে কেউ কি নিজে নিজে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারে?
দেবি শেঠি: অবশ্যই। তাকে প্রথমেই শুতে হবে এবং একটি এ্যাসপিরিন ট্যাবলেট জিহবার নিচে রাখতে হবে। এরপর দ্রুত আশপাশের কাউকে বলতে হবে যেন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি মনে করি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করা ঠিক নয়। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাম্বুলেন্স যথাসময়ে হাজির হয় না।


প্রশ্ন: রক্তে শ্বেতকণিকা এবং হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে কি হৃদরোগ হতে পারে?
দেবি শেঠি : না। কিন্তু নিয়মিত ব্যায়াম করার জন্য হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকা জরুরি।


প্রশ্ন: আমাদের ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে অনেক সময় ব্যায়াম করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে ঘরের স্বাভাবিক কাজের সময় হাঁটাহাঁটি করা অথবা সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করা কি ব্যায়ামের বিকল্প হতে পারে?
দেবি শেঠি: অবশ্যই। একটানা আধা ঘণ্টার বেশি বসে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এমনকি এক চেয়ার থেকে উঠে অন্য চেয়ারে যেয়ে বসাও শরীরের জন্য অনেকটা সহায়ক।


প্রশ্ন: হৃদরোগ এবং রক্তে সুগারের পরিমাণের সাথে কি কোনো সম্পর্ক আছে?
দেবি শেঠি: বেশ গভীর সম্পর্ক আছে। ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেক।


প্রশ্ন: হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচারের পর কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?
দেবি শেঠি: পরিমিত খাদ্যাভাস, ব্যায়াম, নিয়মিত ওষুধ খাওয়া, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। পাশাপাশি রক্তচাপ এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।


প্রশ্ন: যারা রাতের শিফটে কাজ করেন তাদের কি হৃদরোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি?
দেবি শেঠি: না।


প্রশ্ন: আধুনিক অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ ওষুধগু কোনগুলো?
দেবি শেঠি: অনেক ওষুধই আছে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরি। তবে আমার পরামর্শ হলো, ওষুধ এড়িয়ে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা। আর সেজন্য নিয়মিত হাঁটা, ওজন কমে এমন খাবার খাওয়া এবং জীবনযাত্রার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি।


প্রশ্ন: ডিসপিরিন বা এই ধরনের মাথাব্যথা উপশমকারী ট্যাবলেট কি হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ায়?
দেবি শেঠি: না।


প্রশ্ন: মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা কেন হৃদরোগে বেশি আক্রান্ত হয়?
দেবি শেঠি: প্রকৃতি মেয়েদেরকে ৪৫ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়।


প্রশ্ন: হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার উপায় কি?
দেবি শেঠি: স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। জাঙ্ক ফুড ধূমপান পরিহার করতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। আর বয়স ত্রিশ পার হলে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। অন্তত প্রতি ছয় মাসে একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতেই হবে।

Saturday, August 1, 2015

ক্রিকেটের যে রেকর্ডগুলো ভাঙতে পারছে না কেউ


ক্রিকেটের যে রেকর্ডগুলো ভাঙতে পারছে না কেউ


রেকর্ড হয়ই ভাঙার জন্য। তবে গত কয়েক বছরে খেলার সংখ্যা রেকর্ড ভাঙা-গড়ার কাজটি চলছে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। রেকর্ড বইয়ে নাম লেখাচ্ছেন অনেক ক্রিকেটার নিত্য নতুন করে। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটে এমন অনেক রেকর্ড আছে যেগুলো সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখনো টিকে রয়েছে। তার কয়েকটির বয়স তো একশও পার করেছে।


 তবে দেখে নেয়া যাক এমন কিছু রেকর্ডের কথা- -

১. নিঃসঙ্গ শেরপা

এ রেকর্ডের বয়স টেস্ট ইতিহাসের সমান। ইতিহাসের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই অনেক গুলো রেকর্ড করে ফেলেছিলেন চার্লস ব্যানারম্যান । টেস্ট ইতিহাসের প্রথম বলের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। প্রথম রান নিয়েছেন তিনি। প্রথম শতক ও তাঁর! এসব রেকর্ড তো কারও পক্ষেই ভাঙা সম্ভব নয়। কিন্তু আরেকটি রেকর্ড করেছিলেন চার্লস, ১৩৮ বছর পরও যেটি অধরা রইল সবার জন্য। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ছিল ২৪৫ , যার ১৬৫ রান এসেছিল চার্লসের ব্যাট থেকে। দলের ৬৭ শতাংশ রান কেবল একজন ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে এসেছে! দলীয় ২৪০ রানের মাথায় ইনজুরির কারণে মাঠ না ছাড়লে রেকর্ডটি আরও বড় হতেই পারত। তবে ততক্ষণে তিনি দলের হয়ে দুই তৃতীয়াংশ রান সংগ্রাহক হয়ে গেছেন। এই রেকর্ড ভাঙতে পারেননি এখনো কেউ।

২. অচেনা ঘাতক

টেস্ট অভিষেকে চমক দেখিয়েছেন অসংখ্য ক্রিকেটার। বিশেষ করে বোলারদের টেস্ট অভিষেকের পারফরম্যান্স তো অধিকাংশ সময় হয় চমক জাগানিয়া। বারবার অচেনা ঘাতকে কাঁটা পড়েছেন অসংখ্য ব্যাটসম্যান । তারপরও অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডের বয়স ১২০ বছর হয়ে গেল। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ড দলের দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যালবার্ট এডউইন ট্রট যখন বোলিং করতে এলেন তখনো বোঝা যাইনি কী হতে যাচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যেই। প্রথম ইনিংসে উইকেট শূন্য থাকা এই ডানহাতি দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ ওভার বল করে ৪৩ রানের বিনিময়ে ৮ উইকেট তুলে নেন। অস্ট্রেলিয়ান এই বোলারের রেকর্ড ১২০ বছর পরেও অক্ষুণ্ন রয়েছে । এই রেকর্ড ভাঙার কাছাকাছি কেবল তাঁর স্বদেশি বব মেসি যেতে পেরেছিলেন। তাও সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ৭৭ বছর পর অভিষিক্ত বব ৮ উইকেট নিয়েছিলেন ৫৩ রানের বিনিময়ে।

৩. অচেনা ঘাতক- ব্যাটিং

অভিষেকে ব্যাট করতে নেমে অনেক ব্যাটসম্যান স্নায়ুচাপে ভোগেন বলে শোনা যায়। ইংলিশ ব্যাটসম্যান রেজিন্যাল্ড ফস্টার অবশ্য এই সব স্নায়ুচাপ চাপ-টাপের ধার ধারতেন না। ১৯০৩ সালে সিডনি টেস্টে ব্যাট ৩ উইকেট পরার পর ব্যাট করতে নেমেছিলেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন মাঠ ছেড়ে যাচ্ছেন তখন তার নামের পাশে ২৮৭ রান! মাত্র ১৩ রানের জন্য ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ত্রিশতক হাঁকানোর রেকর্ড হাত ফসকে যায়। সেই সঙ্গে অভিষেকে ত্রিশতক হাঁকানোর অবিস্মরণীয় এক রেকর্ডও হাত ছাড়া করেন তিনি। কিন্তু অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ১১১ বছর পরেও তার বগলদাবা। অভিষেকে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দক্ষিণ আফ্রিকান জ্যাক রুডলফের । বাংলাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামে টেস্ট অভিষেকে ২২২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

৪. রানের পাহাড়

ছোট মাঠ, ভারী ব্যাট আর বোলিংয়ে হাজারো শৃঙ্খল মিলিয়ে ক্রিকেটে এখন ব্যাটসম্যানদের জয়জয়কার। ক্রিকেট মানেই এখন রান আর রান। কিন্তু রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডের বয়স কিন্তু প্রায় শতবর্ষ হতে চলেছে। ১৯২৮ সালের ব্রিসবেন টেস্টে ইংল্যান্ড ৬৭৫ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর ৮৭ বছর পার হয়ে গেছে । কিন্তু এই রেকর্ড এখনো ভাঙা যায়নি।
ইনিংসে জেতার রেকর্ডের বয়স অবশ্য একটু কম। আজ থেকে ৭৭ বছর আগে ওভালে ইংল্যান্ড তাঁদের চিরশত্রু অস্ট্রেলিয়াকেই ইনিংস এবং ৫৭৯ রানে হারিয়েছিল। সে রেকর্ডও এখনো অক্ষুণ্ন।

৫. ধারাবাহিকতা

টেস্ট ক্রিকেটের রানের রেকর্ড নিয়ে কথা হবে আর স্যার ডন ব্র্যাডম্যান সেখানে আসবেন না এটি অসম্ভব। ১৯৪৮ সালে ওভাল টেস্টে শেষবারের মতো ব্যাট করতে নামার সময় খুব সহজ একটি সমীকরণ ছিল ব্র্যাডম্যানের সামনে। মাত্র ৪ রান করলেই ক্যারিয়ার শেষ করবেন ১০০ গড় নিয়ে। কিন্তু উইলিয়াম হোলিসের বলে শূন্য রানে ফিরে যান তিনি। তারপরও তার ব্যাটিং গড় দাঁড়ায় ৯৯.৯৪! এরপর ৬৭ বছর হতে চলল, ব্যাটিং গড়ে ব্র্যাডম্যানের ধারে কাছেও কেউ যেতে পারেননি।
ডন ব্র্যাডম্যানের আরেকটি রেকর্ডও এখনো অক্ষুণ্ন। নিজের ক্যারিয়ারে ৮০ ইনিংসে ব্যাট করেছেন , তাঁর ২৯ ইনিংসেই শতক হাঁকিয়েছেন। প্রতি ২.৭৬ ইনিংসে একটি শতরান! এই রেকর্ড ও অক্ষুণ্ন আছে গত ৬৭ বছর ধরে।

৬. অল্প স্বল্প গল্প

টেস্টে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড কোন দলের জানেন? না, বিশ্ব ক্রিকেটে যাদের সামর্থ্য নিয়ে সর্বদা আলোচনা হয়— সেই জিম্বাবুয়ে বা বাংলাদেশ নয়। এই রেকর্ডের মালিক নিউজিল্যান্ড। ৬০ বছর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে ২৭ ওভার ব্যাটিং করে ২৬ করতে পেরেছিল। দলীয় সর্বনিম্ন রানের এই রেকর্ড গত ছয় দশক ধরে নিউজিল্যান্ড বহন করছে। গত ষাট বছরে অন্য কোনো দলের ইনিংস ৪০ রানের নিচে গুটিয়ে যায়নি।

৭. শচিন টেন্ডুলকার

ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ওয়ানডে ও টেস্ট দুই ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ শতকের মালিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৪৩৫৭ এবং ঠিক ১০০ টি শতক নিয়ে যে রেকর্ড গড়েছেন ভারতের ‘লিটল মাস্টার’, সেটিও হয়তো এমনই এক রেকর্ডে রূপান্তরিত হচ্ছে। ব্র্যাডম্যানের টেস্ট গড়ের মতো যে রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন দেখা যায় কিন্তু বাস্তবে করে দেখানো প্রায় অসম্ভব। নিকট ভবিষ্যতে এই রেকর্ড ভাঙার কোনো সম্ভাবনা নেই। কে জানে হয়তো ১০০ বছর পরেও যখন ‘যে রেকর্ড অটুট এখনো’ এর তালিকা তৈরি হবে, সেখানে শচীনের নাম জ্বলজ্বল করবে।
সূত্র : সময় টিভি

Friday, May 15, 2015

মরা মুরগির গ্রিল চিকেন খাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

মরা মুরগির গ্রিল চিকেন খাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

রাজধানীর মুরগির আড়তগুলো থেকে এখন “োরসে মরা মুরগি চলে যাচ্ছে নগরীর হোটেল- রেস্তোরাঁয়। তেজগাঁও রেলস্টেশন-সংলগ্ন মুরগির আড়তে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খামার থেকে প্রতিদিন গড়ে সর্বনিম্ন দেড় লক্ষাধিক পর্যন্ত মুরগি প্রবেশ করে। প্রতি রাতে এ আড়তের তিনটি প্রবেশপথ দিয়ে যখন মুরগি বহনকারী একেকটি ট্রক প্রবেশ করে, তখন ওতপেতে থাকা একটি চক্র মরা মুরগিগুলো পোষা কুকুর বা চাষের মাছকে খাওয়ানোর কথা বলে বিনামূল্যে সগ্রহ করে। রাজধানীর বিভিন্ন ফাষ্টফুড, হোটেল এবং রেস্তোরার কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী ওই চক্রের কাছ থেকে কম খরচে মরা মুরগি কেনে। এসকল মরা মুরগি গ্রীল চিকেন ও শর্মাতে “োরসে ব্যবহার করছে। প্রতিদিন এসব মরা মুরগির গ্রিল চিকেন খাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডির একটি স্বনামধন্য রেষ্টুরেন্ট থেকে ৩০০ পিস মরা পচা মুরগিসহ হাতেনাতে ২ জনকে আটক করে র‌্যাব । র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, একটি সন্ত্রাসী মহল চক্রটিকে এ কাজে সহযোগিতা করছে। কাওরান বাজার আড়তে প্রতিদিন এক থেকে দুই লাখ টাকার মরা মুরগি বিক্রি হয় এবং দেড় লক্ষাধিক মুরগির মধ্যে প্রতিদিন প্রাায় দুই হাজার ঢাকায় আসতে আসতেই মারা যায়। মরা মুরগি সংগ্রহের চক্রটি এগুলো তেজগাঁও আড়তের ভিতরে নিয়ে গিয়ে রাত ১২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কেটেকুটে বিক্রির জন্য পরিষ্কার করে।
সাধারণত চক্রটি প্রতিটি মরা মুরগি ৪০ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। একই অবস্থা রাজধানীর কাপ্তানবাজার মুরগির আড়তের। এ আড়তে অবৈধ ব্যবসায় জড়িত চক্রটি বহুদিন ধরেই মরা মুরগি সগ্রহ করে আসছে।
মোহাম্মপুরের আজিজ নামের একজন বলেন, আমরা জীবনের তাগিদে সকালে বাসা থেকে বের হই অনেকেরই বাসার খাবার বহন করা সম্ভব না। বাইরে হোটেলে টাকা দিয়ে খেতে হয়। সেখানেও এমন দুর্নীতি কোথায় বাসবাস করছি আমরা কি খাচ্ছি ।
র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পাশা বলেন, সাধারণত এক ধরনের অসাধু মাদকসেবী চক্র এ ব্যবসায় জড়িত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাজধানীর হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুডের দোকানে মরা মুরগির চাহিদা থাকে। হোটেলে মরা মুরগির পচা গন্ধ দূর করতে লেবু দিয়ে তা রান্না করা হয় বলে জানান আনোয়ার পাশা। তিনি আরো বলেন, মরা মুরগি ৫০-৬০ টাকায় নিউমার্কেট ও কারওয়ান বাজারের অসাধু মুরগি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনে তা গ্রিল এবং শর্মা বানিয়ে বিক্রয় করে আসছে। আমরা ইতিমধ্যে অনেক অসাধু ব্যবসায়ীকে আটক করে বিচারের আওতায় এনেছি।
সূত্র -আনিতা বিথী : আমাদের সময়.কম : ১৫/০৫/২০১৫